জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, আপনি জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ জিরা
খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি জিরা খাওয়ার উপকারিতা
ও অপকারিতা ও জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান
তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের
সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেই
আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।যদি আপনি
জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, রাতে জিরা খেলে কি হয়,জিরা পানি
তৈরির নিয়ম, জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে ,জিরা গুড়া খাওয়ার নিয়ম
বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে
চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত
পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
উপকারিতাঃ অনেক বছর আগ থেকে মানুষ জিরার বিভিন্ন ব্যবহার করে আসছে। জিরাতে
রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি ইনফ্লেমেটরি ,ফাইবার এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা
আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত জিরা খেলে এখন সবচেয়ে বেশি মানুষ যে
সমস্যা ভোগ করছে সেটা হল গ্যাস্টিকের সমস্যা ছোট থেকে বড় সবারই এই গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা রয়েছে ,অনেক সময় ওষুধ খাওয়ার পরও এই গ্যাস্ট্রিক কমতে চায় না। সে
ক্ষেত্রে আপনারা নিয়ম করে যদি জিরা খেতে পারেন তাহলে আপনার গ্যাস্টিক সহ বিভিন্ন
রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। জিরা এতে যে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ।তা শরীরের
অতিরিক্ত তাপমাত্রা অথবা জ্বর কমাতে অনেক বেশি উপযোগী কারণ এই উপাদানটি রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
অপকারিতাঃ জিরাতে যেমন ,উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যে
কোন জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই গবেষকরা বলেছেন
অতিরিক্ত জিরা খেলে মানুষের শরীলের রক্তকে তরল করতে পারে। অনেক ডায়াবেটিস রোগী
জিরা খেয়ে থাকে কিন্তু জিরা পরিমাপ মত না খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। কারণ কেউ যদি অতিরিক্ত জিরা খায় তাহলে তার শর্করার মাত্রা
কমে যেতে পারে। এবং শর্করা কমে যাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে যাবে। জিরার তেল অতিরিক্ত
ব্যবহারের ফলে তা প্রদাহ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যেকোনো জিনিসে যেমন
উপকারিতা রয়েছে, তেমন অপকারিতা রয়েছে তাই যে কোন জিনিস অতিরিক্ত মাত্রায় খাবেন
না।
রাতে জিরা খেলে কি হয়
গবেষকরা জানিয়েছেন জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। জিরাতে রয়েছে, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স,
ভিটামিন সি, ফাইভবার ইত্যাদি। জিরার এই ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরে হজম
ক্ষমতা সঠিক মাত্রায় রেখে রাতে ভালোভাবে ঘুম হতে সাহায্য করে। জিরাতে যে ভিটামিন
সি রয়েছে, তা আমাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকাকে ঠিক ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
যেভাবে জিরা পানি খাবেন।
রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে হাফ চামচ জিরা গুড়া ভালোভাবে
মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। ১৫ মিনিট পর জিরা পানি পান করতে হবে। এভাবে পান
করলে রাতে ঘুম ভালো হবে,এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে,
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যাবে, যাদের রাতে ঘুম হয় না এবং পেট ফুলে থাকে হজম হতে
চাই না তারা প্রতিদিন নিয়মিত এভাবে জিরা পানি পান করলে আপনারা এ সকল সমস্যা থেকে
অনায়াসে মুক্তি পেয়ে যাবেন। কিন্তু ধৈর্য ধরে কিছুদিন জিরা পানিটা পান করতে
হবে।
জিরা পানি তৈরির নিয়ম
জিরা পানি আমরা বিভিন্ন নিয়মে তৈরি করতে পারি। এইটা বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে তৈরি
করে খায় বা পান করে। আপনারা আপনাদের রুচি মতো বানিয়ে খেতে পারেন। জিরা পানি
তৈরির দুটি নিয়ম জেনে নিন। রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক গ্লাস পানির সঙ্গে এক চামচ
আস্ত জিরা ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে উঠে পান করুন। আপনাদের ইচ্ছা করলে গোটা জিরা
গুলো উঠিয়ে ফেলেও খেতে পারেন, উপকার বেশি হয়।
তিন পোয়া পানি, জিরার গোড়া আড়াই চামচ, লেবুর রস তিন থেকে চার চামচ, আখের গুড়
আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী পরিমাণ মতো নিবেন, বিট লবণ হাফ চা চামচ, শুধু লবণ হাফ চা
চামচ, এই সকল উপকরণ পানির মধ্যে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।এরপর আধা ঘন্টা অথবা 15
মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে তৈরি হয়ে গেল জিরা পানি। টক মিষ্টি এবং
লবণ আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারেন এভাবে জিরা পানি তৈরি
করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
জিরা পানি কিভাবে খেলে ওজন কমে
জিরা পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী একটি উপাদান। আপনারা অনেকে ভেবে
পান না, যে কিভাবে আপনাদের ওজন কমাবেন। আপনারা খুব সহজে জিরা পানি খেয়ে ওজন
কমাতে পারেন। জিরাতে যে ফাইবার রয়েছে, নিয়মিত জিরা পানি খেলে খুব সহজে ওজন
কমিয়ে ফেলা যায়। যেভাবে জিরা পানি খেলে খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমবে। ১ গ্লাস কুসুম
গরম পানির সঙ্গে ১ চামচ আস্ত জিরা আধাঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধাঘন্টা পর এর সঙ্গে
অর্ধেক লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান
করতে অথবা খেতে হবে। এভাবে খেলে আপনার ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
জিরা গুড়া খাওয়ার নিয়ম
প্রথমে জিরা গুড়া তৈরি করে নিতে হবে, জিরা গুড়া তৈরির নিয়ম। ১০০ গ্রাম জিরা
অথবা আপনারা আপনাদের পরিমাণ মতো জিরা নিতে পারেন। জিরা গুলো ভালোভাবে রোদে
শুকিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ভালোভাবে গুড়া করতে হবে,যেন
দানা দানা না থাকে। অথবা শীল পাটায় বেটে ও গুড়া করে নিতে পারেন। এরপর জিরার
গুড়াগুলো যেকোনো এয়ারটাইট কোটাতে রেখে সংরক্ষণ করলে পারেন। কোটাতে রাখলে
অনেকদিন পর্যন্ত জিরা গুড়া ভালো থাকে ও অনেকদিন পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন।
জিরা গুড়া খাওয়ার নিয়ম, দেড় গ্লাস পানির, মধ্যে দেড় চামচ জিরা
গুড়া,ভালোভাবে মিশিয়ে তিন মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবং ভালোভাবে ফুটে গেলে ছেঁকে
নিন, হালকা কুসুম গরম হয়ে এলে এর সঙ্গে ১ চামচ মধু এবং ৪ চামচ লেবুর রস ভালোভাবে
মিশিয়ে,যাদের জিরাতে গ্যাস্টিকের সমস্যা হয়। তারা সাড়ে ১১ টার দিকে পান করুন।
যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা নেই তারা সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন সকালে খালি
পেটে পান করলে বেশি উপকার হয়।
শেষ কথা
এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।জিরা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এরকম আরো অনেক
নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের
সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।