লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লেবু কেন খাবেন জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি লেবু কেন খাবেন উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য অনেক জায়গায় আপনি খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সতর খুঁজে পাচ্ছেন না এই আমি স্টেপ বাই স্টেপলেবু কেন খাবেন ওলেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা আলোচনা করব। যদি আপনি, লেবু কেন খাবেন ওলেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পাতিলেবুর উপকারিতা  জানতে চান ।তাহলেআর্টিকেলটি পড়তে থাকুন কাঙ্খিত প্রশ্নেরসদুত্তর পেয়ে যাবেন ।

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু লেবু কেন খাবেন ও লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতাএই বিষয়েই নয় আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । যদি আপনি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি সর্দি শেষ পর্যন্ত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে  পড়ুন

পোস্ট সূচিপত্রঃ লেবু কেন খাবেন - লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

ভূমিকা

এ আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি লেবু কেন খাবেন লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা, ভরা পেটে, খালি পেটে খাওয়া যাবে কিনা, গরম পানি ও ঠান্ডা পানিতে কিভাবে লেবু খেতে হবে ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

লেবুর উপকারিতা

  • লেবু কেন খাবেন ।লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যাআন্টি সেপটিক হসেবে শরীরে কাজ করে। ঠান্ডা জনিত সর্দি কাশিকে প্রতিরোধ করে।
  • গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে খাদ্যকে হজম করে ও লিভার কে সুস্থ রাখে।
  • লেবু শরীরের বাড়তি চর্বি ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • লেবু আলসার ,গ্যাস্টিক , বুক জ্বালা কমাতে সহায়তা করে।
  • লেবু শরীর শরীরের ক্ষতস্থান শুকাতে সহায়তা করে।
  • লেবুর রস মুখের দাগ ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে।
  • লেবু গলার ও শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
  • লেবু যেকোন অপারেশন রোগীর সেলাইকৃত স্থান শুকাতে সহায়তা করে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে লেবু.সহায়তা করে ।

লেবুর ক্ষতিকর দিক 

  • লেবুর শরবত বেশি পরিমাণে পান করলে পেট ও তলপেট ব্যথা করতে পারে।
  • লেবু অতিরিক্ত খেলে বুক জ্বালা গ্যাসের সমস্যা দেখাইতে পারে তাই লেবু অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
  • গ্যাসের সমস্যা ও এসিডিটির সমস্যা থেকে থাকলে লেবু অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে , কারণ লেবু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে গ্যাস ও বুক জ্বালার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • একটানা লেবু , শরীরের ওজন কমানোর জন্য খেলে শরীর পুষ্টিগুণের অভাব দেখা দিতে পারে ও শরীর দুর্বল করে দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত লেবু খেলে প্রেসার লো হয়ে যেতে পারে।

পাতি লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

পাতিলেবুর উপকারিতাঃ
  • পাতিলেবুর মধ্যে এক ধরনের পদার্থ থাকে যাকে সাইট্রেট বলা হয় যা কিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বিরত রাখে।
  • ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে পাতি লেবু , অতুলনীয় ভাবে কাজ করে।
  • শরীরের বাড়তি চর্বি ওজন কমাতে পাতি লেবু সহায়তা করে।
  • পাতিলেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যার ফলে অন্যান্য যেসব শাকসবজিতে আইরন আছে , ওই আয়রন গুলোকে শোষণ করে নেই ফলে শরীরে রক্তস্বল্পতা কমে ।
  • পাতি লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে এতে আছে ভিটামিন সি , এ , ফসফরাস ,ক্যালসিয়াম , ফোলেট যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
পাতি লেবুর অপকারিতাঃ
  • লেবু নিয়মিত পরিমাণ মতো খেলে যেমন শরীরের অনেকউপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি পাতি লেবু মাত্রাতিরিক্ত খেলে এর অপকারিতা ও পার্শপ্রতিক্রিয়া ও রয়েছে। পাতি লেবু বেশি খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • শরীর দুর্বল লাগতে পারে ,
  • বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে
  • শরীরে অস্থিরতা ভাব লাগতে পারেভালোভাবে ঘুম না হতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত পাতি লেবু খান তাহলে কোন বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে নিয়ে খান।

ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা

ভরা পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা-ভরা পেটে লেবু লেবু পানি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়, গ্যাস্ট্রিক হওয়া থেকে নিরাপদে থাকা যায়, ঘুম ভালো হয় ।শরীর ওজন কমাতে সহায়তা করে , বদ হজম থেকে বিরত থাকা যায়। শরীরে অতিরিক্ত যে চর্বি জমে থাকে ,সেই চর্বিকে নিঃশেষ করে দেয় । এবং দূষিত রক্তকে বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিসের রোগী যারা তাদের, ডায়াবেটিসির রোগ কে নিয়ন্ত্রণে  রাখতে সহায়তা করে ।
খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

লেবু পানি কেন খাবেন ও লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা ।খালি পেটে লেবু খাওয়ার উপকারিতা-খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের বাড়তি ওজন কমে যায়, শরীরে বাড়তি চর্বি কমে যায়, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় , শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি যোগায়। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের খালি পেটে না খাওয়াই ভালো

প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত

প্রতিদিন লেবু পরিমাণ মতো হওয়া উচিত সেই পরিমাণ টা হলো দিনে একটি করে লেবু খেতে পারেন। কারণ মানুষের প্রতিদিন শরীরে ভিটামিন সি এর প্রয়োজন ৬৫ থেকে ৯০ মিলিগ্রাম। যা একটা লেবুতে মোটামুটি পাওয়া যায়। পরিমাণ মতো লেবু খেলে শরীরের কোষ গুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, হজম শক্তিকে মজবুত করে।

 লেবু পানি কখন খাওয়া উচিত

পানি খাওয়ার সময়ঃ যদি কোন গ্যাসের সমস্যা না থাকে বুক জ্বালাপোড়া না করে এবং আপনি শরীরেরওজন কমাতে তাহলে আপনি সকালে এক গ্লাস হালকা পানির মধ্যে একটি লেবু মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন।
আর যদি গ্যাসের সমস্যা থাকে বা বুক জ্বালাপোড়া করে তাহলে আপনি সকালে লেবু না খেয়ে বিকালে আপনি এক গ্লাস গরম পানির সাথে একটি লেবু মিশিয়ে খেতে পারে এতে গ্যাসের সমস্যা হবে না এবং হজম হজম শক্তি ও বৃদ্ধি পাবে ঘুমও ভালো হবে।

রাতে গরম পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিদিন রাতে গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমে যাই।
রাতেগরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে হাঁপানি শ্বাসকষ্ট রোগ কমাতে সহায়তা করে।
রাতেলেবু হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বাড়ে।
রাতেহালকা গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে চেহারায় বয়সের যে ছাপ পড়ে সেই ছাপ কমাই। 
লেবুতে রয়েছে প্রচুরভিটামিন সি গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমাই ও হরমোন গুলো সক্রিয় হয়।
রাতেহালকাগরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাই।
প্রতিদিন হালকা গরম পানির সাথে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরে পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
শরীরে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের চাহিদা লেবু হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে দূর করে।
লেবু হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলেকিডনিতে পাথর হওয়া থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করে।

লেবু পানি বানানোর নিয়ম

লেবু পানি বানানোর নিয়ম-লেবু পানি তৈরির ক্ষেত্রে এক গ্লাস ঠান্ডা বা গরম পানি এতে একটি লেবু মিশিয়ে নিন , সাথে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। যদি আপনি মধু খেতে না চান তাহলে সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন । এতে পানিটা টেস্টি হবে খেতে ভালো লাগবে । যদি আপনি প্রেসারের রোগী না হয়ে থাকেন, কিন্তু যদি আপনি হাই প্রেসারের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে কোন ভাবেই লবণ খাওয়া যাবেনা। এভাবে লেবু পানি বানাতে পারেন ।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক লেবু বিষয়ক তথ্য সম্পর্কে জেনেছেন কেন , কখন, কিভাবে খেতে হয় যদি আপনার কাছে ওয়েবসাইটটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা এ বিষয়ে জানেনা দয়া করে তাদের কাছে শেয়ার করুন। আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url