চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায়
খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু এর সদুত্তর কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না । আমি স্টেপ
বাই স্টেপ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচোনা
করব।আপনি যদি চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা ভালোভাবে জানতে চান তাহলে
আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা এই বিষয়েই লেখা
হয় নাই আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি ।পয়েন্টগুলো সম্পর্কে যদি
বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা, চিয়া সিড কখন খেতে হবে, কিভাবে
খেতে হবে , কিভাবে খেলে উপকার হবে , বাচ্চাদের চেয়ার সিট খাওয়ার নিয়ম ,
ওজন কমাতে চিয়া সিড এর ব্যবহার এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করে।
- শরিরকে শক্তিশালী করে উঠায় ।
- চিয়া সিডে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়।
- চিয়া সিড ব্লাড সুগারকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
- চীয়া সিডে দুধের চেয়ে ৫গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে যা হাড়ের ক্ষয়কে রোধ করে ও হাড় কে মজবুত করে ।
- শরীরের বর্জ্য পদার্থ চিয়া সিড বের করে দেয়
- গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে
- শরীরে সবজির চাহিদা পুরা করে দেয়
- চীয়া সিড ত্বক, চুল , নখ , ভালো রাখতে সহায়তা করে যাদের চুল অকালে পেকে যাচ্ছে তারা নিয়মিত চিয়া সীড খেতে পারেন।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে চিয়া সিডখেতে পারেন। খাওয়ার আধাঘন্টা আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে
দুই চা চামচ চিয়া সিড , সাথে দুই চামচ লেবুর রস এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে
আধাঘন্টা ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপরে আপনি সেই ভিজানো পানিটা খেয়ে নিন। খেলে
আপনার ওজন কমে যাবে শরীর সুস্থ থাকবে.।
চিয়া সিড খাওয়ার সময়
চিয়া সিড সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে খেতে পারেন আবার
রাতেও খাবারের পরে খাবারের পরে ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে খেতে পারেন এ দুই সময়ের কোন
এক সময় খেলে এর উপকার ভালো পাবেন। যদি সকালে চিয়া সিড খান তাহলে সারাদিনের
ক্লান্তি ভাব কেটে যাবে ও দুর্বলতা দূর করবে। যদি রাতে খান তাহলে রাতের ঘুম
ভালো হবে ,শরীরের ঘাটতি পূরণ হবে হবে।
চিয়া সিড খাওয়ার অপকারিতা
চিয়া সিড নিয়ম মেনে খেলে অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে। আর নিয়ম মেনে না খেলে
অর্থাৎ যে পরিমাণ খাওয়া দরকার তার থেকে বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেললে ওই সময় এই
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো
হল ।
- হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে
- এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে
- পানি শূন্যতার সমস্যা দেখা দিতে পারে
- ওজন বৃদ্ধির সমস্যা দেখা দিতে পারে
- দম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিতে পারে
- লো প্রেসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড ওজন কমাতে খাওয়ার নিয়ম হলো সকালে কোন কিছু না খেয়ে এক গ্লাস পানির
মধ্যে দুই চা চামচ লেবু দিয়ে দিবেন, এবার ওর মধ্যে দুই চা চামচ চীয়া সিড দিয়ে
দিবেন সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিবেন ,আধাঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘন্টা পরে
ওই পানিটা পান করুন। এতে আপনার শরীরের ওজন কমতে থাকবে , বাড়তি চর্বি কমে যাবে ,
শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পাবে ,শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে।
বাচ্চাদের চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চীয়া সিড বাচ্চাদের খাওয়ার নিয়ম -বাচ্চাদেরকে চিয়া সিড খাওয়ানোর সময় সতর্ক
থাকতে হবে যেন বাচ্চার গলায় আটকে না যায় এজন্য তাকে আদা চা চামচ পরিমাণ দুধের
সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। ব্লেন্ডার করেও তাকে খাওয়াতে
পারেন। বিলিন্ডার করা চিয়া সিড কোন মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের সাথে মিশিয়ে
খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চার শরীরে শক্তি যোগাবে ,দুর্বলতা কেটে যাব্ গ্রোথ গতি
বৃদ্ধি পাবে।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা সংক্রান্ত
বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে চিয়া সিড
সম্পর্কে যারা জানেনাতাদের সাথে শেয়ার করুন। আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে এই ও।