জাফরান ব্যবহারের নিয়ম - জাফরানের উপকারিতা জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক আপনি জাফরান ব্যবহারের নিয়ম  জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ জাফরান ব্যবহারের নিয়ম জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি জাফরান ব্যবহারের নিয়ম ও জাফরানের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
জাফরান ব্যবহারের নিয়ম -  জাফরানের উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু জাফরান ব্যবহারের নিয়ম এবং জাফরানের উপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই। এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোস্ট সূচীপত্রঃ জাফরান ব্যবহারের নিয়ম - জাফরানের উপকারিতা জেনে নিন

ভূমিকা

জাফরান আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক কাজে লাগে এবং জাফরানের উপকারিতা অনেক তাই আমরা জাফরানের বিভিন্ন ব্যবহার সম্পর্কে এই আর্টিকেলটি লিখেছি। যেমন জাফরান তেলের উপকারিতা জাফরান দিয়ে কিভাবে ত্বক ফর্সা করতে হয় গর্ব অবস্থায় কিভাবে জাফরান খেতে হয় বিভিন্ন পয়েন্ট আকারে লিখা হয়েছে, যা আপনাদের কাঙ্ক্ষিত প্রশ্নের উত্তর পেতে সাহায্য করবে। তাই আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন।

জাফরানের উপকারিতা

জাফরানে রয়েছে অনেক গুনাগুন যা আমরা বলে শেষ করতে পারবো না। কারণ জাফরানের রয়েছে অধিক পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট। বর্তমানে অধিক মূল্যবান তেল হিসেবে জাফরানের তেলকে ধরা হয়। জাফরানের তেল আমাদের অনেক কাজে ব্যবহার হয়।জাফরানের তেল আমরা যেসব কাজে ব্যবহার করতে পারি। যেমন, জাফরানের তেল আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী যা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
এবং আমাদের চুল ওঠা বন্ধ করে, চুলের আগা ফাটা দূর হয় চুল লম্বা হতে সাহায্য করে। জাফরান তেলে চুল অনেক সুন্দর হয় ও চুল অনেক সিল্কি হয়ে থাকে। কাশ্মীরের মেয়েদের চুলের সৌন্দর্যের প্রধান কারণ হলো জাফরানের তেল। এই জাফরান তেল আমরা রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার করতে পারি, যেমন জাফরান তেল সানস্ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। আরো অনেক উপকার রয়েছে এ জাফরান তেলে।

রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার

রূপচর্চার কাজে আমরা জাফরান যেভাবে ব্যবহার করতে পারি।আমরা জাফরানের সাবান বানিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারি। এই জাফরানের সাবানে আমাদের মুখের কালো দাগ দূর হয় ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে, ও ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়, এবং ত্বক সফট করতে সাহায্য করে। আমরা এই জাফরানের শাবান বাড়িতে অনায়াসে তৈরি করতে পারি।

আবার জাফরানের বিভিন্ন প্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করলে। প্রতিটা মানুষ চাই তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাক, তাই তারা চেষ্টা করে কিভাবে তাদের সৌন্দর্যকে বাড়ানো যায়। আমরা জাফরানের তেল দিয়েও মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে। রাতে ঘুমানোর আগে এই জাফরানের তেল ভালোভাবে মুখে মাসাজ করে লাগাতে হবে। এরপর সকালে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।

আমরা যেভাবে বাড়িতে জাফরানের প্যাক তৈরি করব , আমরা দুই তিন চামচ গরুর দুধ অথবা ছাগলের দুধ হলে বেশি ভালো হয়। এর সঙ্গে হাফ চামচ জাফরান ও এক চামচ চালের গুঁড়া ও হাফ চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ভাব ত্বকে ব্যবহার করলে, ত্বকের ভিতরের ময়লা ও ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।

জাফরান দুধ খাওয়ার নিয়ম

সারা বিশ্বের সবচেয়ে দামি মসলা হিসেবে আমরা জাফরানকে জেনে থাকি। দুধ দিয়ে জাফরান খাওয়ার নিয়ম, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে হাফ চামচ জাফরান মিশিয়ে খেতে পারেন, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, আমাদের ত্বকের ভিতর থেকে ফর্সা করে ।আরো শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।

জাফরান দিয়ে দুধ আমরা আরো যেভাবে খেতে পারি , এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে হাফ চামচ জাফরান ও এক চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে। সকালে খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা পর এই জাফরানের দুধ খেতে পারেন। এতে ঠান্ডা লাগা সর্দি-কাশি ভালো হতে সাহায্য করে। আর এই জাফরানের দুধ নিয়মিত খেলে ত্বকের কালো ভাব অনায়াসে দূর হয়ে যাবে।

জাফরান ব্যবহারের নিয়ম

জাফরান আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি,কিন্তু জাফরান ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। জাফরানের এই সুন্দর রংয়ের কারণ, জাফরানের এক ধরনের ক্যারোটিন থাকে, পানির সঙ্গে মিশে কমলা রঙের সৃষ্টি হয়। যাকে ক্রসিন বলে থাকে। এর জন্য আমরা যেকোনো খাবারে জাফরান ব্যবহার করলে এর রং সোনালী বর্ণের হয়ে যায়। আমরা জাফরান অনেক কাজে ব্যবহার করে থাকি।
জাফরান ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন সালমা সালমা সালমাযেমন, জাফরান আমরা রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি। কোন মিষ্টি খাবার যেমন,পায়েস এর মধ্যে জাফরান দিলে এর সৌন্দর্য বেড়ে যায়। আবার কোন মিষ্টি খাবার ডেকরেশনের সময় এই জাফরান ব্যবহার করলে তার সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যায় এবং স্বাদ বেশি লাগে। এবং জাফরান দিয়ে চা বানালে চা খেতে যেমন সুন্দর হয় দেখতে ও অনেক সুন্দর হয় । আমরা রূপচর্চার কাজেও এই জাফরান ব্যবহার করে থাকি।

জাফরান আমরা তেল বানিয়ে ও ব্যবহার করতে পারি। যা আমাদের চুলকে সুন্দর করতে সাহায্য করে । এবং এই তেল তোকে ও ব্যবহার করা যায়, যা আমাদের ত্বক কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। যার ত্বক অনেক রুখ্য তারা এই জাফরানের তেল ব্যবহার করতে পারে। কাশ্মীরের মেয়েদের সুন্দর হওয়ার প্রধান কারণ হলো এই জাফরান। ওরা সব কিছুতে জাফরান এর ব্যবহার করে।

গর্ভাবস্থায় জাফরান খাওয়ার নিয়ম

গর্ব অবস্থায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার তারা যত পুষ্টিকর খাবার খাবে, তা বাচ্চার জন্য উপকারী। গর্ভবতী মহিলাদের জাফরান খেলে কি কি উপকার হয় তা জেনে নিন। গর্ভকালীন অবস্থায় মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কারণ গর্ভবতী অবস্থায় মেয়েদের মন মেজাজ ভালো থাকে না। কখনো মন ভালো হয় আবার কখনো খারাপ। তাই জাফরান নিয়মিত খেলে শরীরে সেরোটোনিন হরমন তৈরি কর।এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দুই চিমটে জাফরান একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলে হবে।

বাচ্চাদের জাফরান খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চাদের বয়স যখন ৬মাস হয়,তাদের বারতি খাবার দেওয়া হয়।বাচ্চার বয়স ৬মাসের বেসি হলে খাবারের মধ্যে জাফরান মিসিয়ে খাওয়াতে পারেন।যেমন দুধ,সেরেল্যাক অথবা কোন তরল খাবার।বাচ্চারা শক্ত খাবার খেতে শুরু করলে,দুধে জাফারান মিসিয়ে খাওয়াতে পারেন।এতে বাচ্চাদের হাড় দ্রুতগতিতে বিকশিত হয়ে থাকে।জাফরানে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ফাইভার রয়েছে, যা বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপযোগী।
বাচ্চাদের নিয়মিত জাফরান খাওয়ালে, তাদের গায়ের রং ও চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। জাফরান খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের রাতের ঘুম ভালো হয় ও কান্নাকাটি করে না। এক চিমতে জাফরান শিশু বিকাশে সাহায্য করে। ছোট বাচ্চাদের অনেক সর্দি কাশি হয়ে থাকে, নিয়মিত জাফরান খাওয়ালে শরীরের অনেক সমস্যা দূর হয়।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। জাফরান ব্যবহারের নিয়ম এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url