শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সদুত্তর আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। যদি আপনি শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন ।আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক এখানে শুধু শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া  উপায় সম্পর্কেই নয়, আরো শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও প্রতিকারএছাড়া ওআরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি ।  যদি সে বিষয়গুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া চিকিৎসা, শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ব্যায়াম, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও প্রতিকার শ্বাসকষ্ট হলে কি খাওয়া যাবে , কি খাওয়া যাবেনা, কি খেলে ভালো হবে শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়, দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও প্রতিকার

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ও প্রতিকার ।শ্বাসকষ্ট রোগ টি মারাত্মক রোগ। এ রোগের কারণে রোগীর প্রাণ অবধি চলে যায়। শ্বাসকষ্টক এমন একটি রোগ যে রোগের কারণে মানুষ শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারে না মনে হয় যেন সে মৃত বরন করবে , শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় ।প্রাথমিক অবস্থায় শ্বাসকষ্টের লক্ষণ সনাক্ত করা গেলে শ্বাসকষ্টের কারণ অনুসন্ধানের মাধ্যমে সুচিকিৎসা করতে সহজ হয় ।তাই আমরা আজকে আলোচনা করব শ্বাসকষ্টের লক্ষণ, শ্বাসকষ্টের কারণ ও প্রতিকার নিয়ে। সাথে সাথে শ্বাসকষ্ট হলে আমাদেরশ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় ও করণীয় পদক্ষেপ কি হবে সে বিষয়গুলো নিয়ে।
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
  • শ্বাস প্রশাস আটকে যাওয়া
  • বুকের ভিতর গড় গড় গড় গড় শব্দ হওয়া
  • টানা অনেকক্ষণ ধরে হাঁচি হওয়া
  • নাক দিয়ে ধুলাবালি গেলে অনেক কষ্ট অনুভব করা
  • শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে ঘুমাতে না পারা
  • নাক দিয়ে ম্যাক্সিমাম সময় পানি ঝরতে থাকা
  • দিন দিন স্বাস্থ্য শুকিয়ে যাওয়া
  • শ্বাস ঘনঘন নেওয়া
  • দম বন্ধ অনুভূতি হওয়া
  • যে কোন খাদ্যের তৃপ্তি না পাওয়া (অর্থাৎ স্বাদ না পাওয়া)
শ্বাসকষ্টের কারণ
  • অতিরিক্ত ধূমপানের কারণে হতে পারে
  • বংশগতভাবে এই রোগ হতে পারে
  • টিবিজনিত রোগের কারণে এ রোগ হতে পারে
  • হার্টের কারণেও হতে পারে
প্রতিকার
  • শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় কি এটা অনেকেরই জানা নেই তাই আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হতাশ হওয়া যাবে না। আমাদের করণীয় কি সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তাই আমরা নিচে করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
  • চুপচাপ থাকুন নিজেকে শান্ত রাখুন ও সংযত থাকার চেষ্টা করুন কারণ আতঙ্ক শ্বাসকষ্টকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে
  • শ্বাসকষ্ট খুব বেশি যদি বেড়ে যায় তাহলে নিকটস্থ পরিষেবা গুলোতে কল করুন এবং নিকটস্থ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

শ্বাসকষ্ট হলে কি কি খাওয়া যাবে না

  • ঠান্ডা জাতীয় খাবার হাঁপানি রোগীর খাওয়া যাবেনা। যেমন আইসক্রিম , ফ্রিজের ঠান্ডা কোন খাবার , র্ঠা‌ন্ডা কোকোকোলা, ঠাণ্ডা পেপসি ,ঠান্ডা মেরিন্ডা ইত্যাদি অর্থাৎ যেই ঠান্ডার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে এমন খাবার বর্জন করে চলতে হবে।
  • যেসব খাবার খেলে গ্যাস বাড়তে পারে এমন খাবার বর্জন করে চলতে হবেযথাঃ গুরুপাক মশলা জাতীয় তরকারি, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত মসলা ইত্যাদি বর্জন করে চলতে হবে কারণ এতে গ্যাস বাড়িয়ে দেয় যা ডায়াফ্রামের উপর চাপ সৃষ্টি করে শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলো বাড়িয়ে তুলে।

শ্বাসকষ্ট হলে কি খেলে ভালো হবে

  • শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় এ ফলমূল শাকসবজি বেশি পরিমাণে খাওয়া ।কারণ এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে। কমলা লেবু ,লাল বাদামী হলুদ ফল ও সবুজ রঙের ফল। শাকসবজি ফলমূল কেবলমাত্র আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই শক্তিশালী করবে না বরং হাঁপানের আক্রমণ কেউ কমিয়ে দিবে।
  • শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় এ কুসুম গরম পানির সাথে একটি লেবু চিপে দিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করতে পারেন এতে শ্বাসকষ্ট উপশম হবে ও শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে প্রশান্তি পাবেন।
  • শ্বাসকষ্ট রোগ কমানোর ঘরোয়া উপায় এ আরো লেবু চা -গরম পানির মধ্যে তিন চার পিচ লং, একটি তেজপাতা , এক কোয়া রসুন , এবং চা দিয়ে নামিয়ে নিন । এবার একটি লেবু ওর মধ্যে চিপে দিয়ে পান করুন এতে আপনার শ্বাসকষ্ট উপসম হবে।

শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ব্যায়াম

শ্বাসকষ্ট রোগীর জন্য উচিত প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট সকালবেলায় হাটা এর পরে বাসায় এসে কিছু ফ্রি হ্যান্ডে ব্যায়াম করা।এক নাম্বার যোগাসন অর্থাৎ আসন গেড়ে বসবেন তারপর যে কাজটা করতে হবে ডান পা বাম উরুর ওপর ও বাম পা ডান উরুর ওপর রেখে ডান হাত ডান হাঁটুর উপর বাম হাত বাম হাটুর ওপর রেখে মেরুদন্ড ও মাথা সোজা রেখে জোরে জোরে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন আবার বন্ধ করুন এভাবে দশ বার দশ বার করে তিনবার করুন।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়

  • হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট উঠে গেলে তাৎক্ষণিক কি করবেন? রোগীকে আশ্বস্ত করতে হবে যে , কোন ভয় নেই আতঙ্কের কিছু নেই । সোজা হয়ে বসতে বলুন কয়েকবার শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করতে বলুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ছাড়তে বলুন
  • ইনহেলার স্পেসারের মাধ্যমেএর মাধ্যমে ধীরে ধীরে পাঁচটি চাপ দিন প্রতিবার চাপ দিয়ে পাঁচবার শ্বাস নিতে বলুন এভাবে পাঁচ বার করুন।
  • ঘরোয়া উপায়ে যদি শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে না আসে তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়ে যান।

দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমানোর উপায়

  • দ্রুত শ্বাসকষ্টকমাতে ঘরোয়া ভাবে আপনি চিকিৎসা করতে পারেন কপি দিয়ে। কপির মধ্যে রয়েছে ক্যাফেইন যা শ্বাসনালীতে উপস্থিত হয়ে পেশী গুলোকে শিথিল করতে পারে যা হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশ কার্যকারী
  • লেবুচা পান করতে পারেন এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা হাঁপানি রোগীর জন্য জন্যখুব উপকারী ।
  • আদা-আদাতে আন্টি ইনফ্লেলমেটরি গুণ রয়েছে যেটি ফুসফুসের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আদা বিভিন্নভাবে খেতে পারেন চায়ের সাথে খেতে পারেন , হালকা গরম পানির সাথে খেতে পারেন এতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে সহায়তা করবে
  • হলুদ-গরম দুধের মধ্যে সামান্য একটু হলুদ দিয়ে সে দুধ পান করতে পারেন হলুদে অনেক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল রয়েছে যেটি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাকে দূর করতে সহায়তা করে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনি আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন শ্বাসকষ্টের কারণ, লক্ষণ , প্রতিকার এবং আরো অনেক ঘরোয়া পদ্ধতি যেগুলো পালন করলে শ্বাসকষ্ট থেকে অনেকটাই বেঁচে থাকা যায় যদি আপনার এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা এ বিষয়ে অবগত না তাদের কাছে অনুগ্রহপূর্বক শেয়ার করুন আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে নিয়মিত এই ওয়েবসাইটটা ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url