খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - খেজুর খাওয়ার নিয়ম

 

প্রিয় পাঠক আপনি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা  জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোস্ট সূচীপত্রঃ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা - খেজুর খাওয়ার নিয়ম

ভূমিকা

খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। খেজুর নিয়মিত খেলে আমাদের কি কি উপকার হয়,খালি পেটে খেজুর খেলে কি উপকার হয়, খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম, দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়, খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিভিন্ন আলোচনা করা হয়েছে যা আপনারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়লে জানতে পারবেন।

সকালে খালি পেটে খেজুর খাওয়ার নিয়ম

সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে , তিনটা খেজুর আর কিছু কালিজিরা একসঙ্গে খেতে হবে। এরপর এক গ্লাস পানি খেতে হবে। এতে আপনাদের শরীরে শক্তি সঞ্চয় হয়। এবং এভাবে খেলে আপনাদের লো প্রেসার এর সমস্যা থাকলে তা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে। তাই নিয়মিত আমরা এভাবে খেজুর খাব।

আমরা আরো যেভাবে খালি পেটে খেজুর খেতে পারি, রাতে ঘুমাতে যাবার আগে পাঁচটা খেজুর এক গ্লাস পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ঘুম থেকে উঠে খেজুর গুলা যখন নরম হয়ে যাবে। তখন ভালোভাবে খেজুর ভেজানো পানির মধ্যে খেজুরগুলো চটকিয়ে নিতে হবে। এবং তা পান করতে হবে।

এভাবে খেলে আপনাদের হাতে পায়ে জ্বালাপোড়া, পেশাবে জ্বালাপোড়া বিভিন্ন রোগ থেকে আল্লাহতালা শেফা দান করবেন। অনেক বাচ্চারা খেজুর খেতে চায় না তাদের এভাবে খেজুর খাওয়াতে পারেন। এতে বাচ্চাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

দিনে সাত-আটটা খেজুর খাওয়া যাবে। এতে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়া ভালো না, যেমন অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন বেড়ে যায়। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয়। তাই যে কোন জিনিস মাপ মত খাওয়া উচিত।
অথবা, সারাদিনে ১০০ গ্রাম খেজুর খাওয়া যাবে। কারণ এই ১০০ গ্রাম খেজুরে রয়েছে প্রায় ২৭৭ ক্যালোরি।কারণ,খেজুরে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি। যাদের ডায়াবেটিস এর সমস্যা আছে তাদের নিয়ম মত খেজুর খেতে হবে। অতিরিক্ত মিষ্টির ফলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকলেও অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্ষতি হতে পারে। কারন আমরা জানি খেজুর ওজন কমাতে সাহায্য করে, কারণ খেজুর খেলে মিষ্টি খাবারের প্রতি চাহিদা কমে যায়। তাই অতিরিক্ত খেজুর খেলে ওজন কমার বদলে ওজন বেড়ে যাবে। তাই আমরা নিয়ম মেনে খেজুর খাব।

খালি পেটে খেজুর খেলে কি হয়

আমরা জানি খেজুরে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের দেহের বিভিন্ন পুষ্টিগুণ বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত খেজুর খেলে আমাদের শরীরের শক্তি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাবে। আমরা সারাদিন কোন না কোন কাজে ব্যস্ত থাকি এতে আমাদের শরীরের অনেক এনার্জির প্রয়োজন হয়।

এই খেজুরে খেলে সারাদিন কাজ করার পরও এনার্জি থাকবে। কারণ এটি মিষ্টি ফল এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আইরন। যা আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে । যাদের পেটে অনেক সমস্যা হয়, হজম কম হয়, পেট ব্যথা করে তারা সকালবেলায় খালি পেটে খেজুর খেলে এ সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

অনেকেই সকালে জিম করে বা ব্যায়াম করে তারা সকালবেলা খালি পেটে তিন টুকরা খেজুর খেয়ে ব্যায়াম করলে, তাদের ব্যায়াম করায় যে এনার্জি নষ্ট হয় তা এই খেজুর এই পূরণ হয়ে যাবে। কারণ সকালবেলায় খেজুর খেলে বেশি উপকারিতা লাভ করা যায়।

ঘুমানোর আগে খেজুর খেলে কি হয়

আমরা জানি যে খেজুরে রয়েছে অনেক ভিটামিন। কারণ খেজুর শরীরের মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণে অনেক সহায়ক হয়ে থাকে। যার কারনে আমাদের রাতের ঘুম অনেক ভালো হয়। তাই ঘুমানোর আগে আমরা যদি।
দুই তিন পিস খেজুর খেয়ে ঘুমাতে পারি এতে আমাদের ঘুম ভালো হবে এবং আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। যাদের প্রচুর পরিমাণে এলার্জি সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ঘুমানোর আগে খেজুর খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

অতিরিক্ত খেজুর খেলে কি হয়

আমরা জানি খেজুর খেলে আমাদের অনেক উপকার হয়। কিন্তু অতিরিক্ত খেজুর খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। অতিরিক্ত খেজুর খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা। পাতলা পায়খানা পেট ব্যথা ও পেট ফাঁপা বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কারণ অতিরিক্ত কোন কিছু শরীরের জন্য ক্ষতিকর। খেজুরে যেমন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবারের ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কারণ খেজুর সংরক্ষণ করে রাখা হয়, আর এই সংরক্ষণ করতে খেজুরে সালফাইড নামক এক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যাতে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে তাই অতিরিক্ত খেজুর না খাওয়া ভালো।

শুকনো খেজুর খাওয়ার নিয়ম

শুকনা খেজুর আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি। যারা শুকনা বা শক্ত খেজুর খেতে পারেন না তারা রাতে ঘুমানোর আগে দুই তিনটা খেজুর ভিজিয়ে রাখবেন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন খেজুর গুলো নরম হয়ে গেছে। এভাবে শুকনা খেজুর খেতে পারেন।

অনেক বয়স্ক মানুষ আছে যারা শুকনো খেজুর খেতে পারেন না। তাদের জন্য রাতে ঘুমানোর আগে খেজুর ভিজিয়ে রাখবেন এবং তাদের সেই খেজুর আর পানি এক সঙ্গে ব্লেন্ডার করে জুস বা শরবত বানিয়ে খাওয়াবেন।

এতে তারা উপকার বেশি পাবে। এবং ছোট বাচ্চাদেরও এইভাবে জুস করে খেজুর খাওয়াতে পারেন এতে তাদের ব্রেন ভালো হবে। তাই শুকনো খেজুর আপনারা খুব সহজে এভাবে সবাইকেই খাওয়াতে পারবে।

খোরমা খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

খোরমা খেজুর একটু কাঁচা এবং শক্ত হয়ে থাকে। কারণ কাঁচা খেজুর কে শুকিয়ে খুরমা খেজুর তৈরি করা হয়। তাই এতে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও ভিটামিন রয়েছে। আমাদের দেহের জন্য অনেক উপযোগী। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
কারণ খুরমা খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি ও খাদ্য পুষ্টি গুণ যেমন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি আইরন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয় ।

খেজুর খেলে আমাদের চেহারা সুন্দর হয়। এবং শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করে। খেজুরে অনেক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খেজুরের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে, শুকনো খেজুরে রয়েছে ৮০ভাগই চিনি যা শরীরের রক্তের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যায়। তাই শুকনো খেজুর কে বা খুরমা খেজুর কে মরুভূমির গ্লুকোজ বলে থাকে।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।খেজুর খাওয়ার উপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url