শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি ২০২৩ - শীতের পিঠা নিয়ে কবিতা
প্রিয় পাঠক শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন
।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি
জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি ও শীতের পিঠা নিয়ে
স্ট্যাটাস বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়
নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে
আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি ২০২৩ - শীতের পিঠা নিয়ে কবিতা
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি, শীতের পিঠা নিয়ে কিছু কথা,শীতের পিঠা
নিয়ে কবিতা, শীতের পিঠা তৈরির নিয়ম, শীতের পিঠা নিয়ে স্ট্যাটাস, শীতের
বিভিন্ন পিঠার নাম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট
বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন
প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর
পেয়ে যাবেন।
শীতের পিঠা নিয়ে কিছু কথা
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।পালা ক্রমে ছয়টি ঋতু পরিবর্তন হয়, এর মধ্যে বাঙালির
উৎসবের ঋতু হলো শীতকাল। শীতকালে বাঙালি প্রতিটি ঘরে পিঠাপুলির উৎসব শুরু হয়ে
যায়। এই শীতের পিঠা বাঙ্গালীদের কাছে একটি বিখ্যাত খাবার। আগেকার মানুষের মতো
এখন আর মানুষ সেভাবে পিঠাপুলি খায় না। কারণ এটা বানানোও কঠিন কারণ এখনকার
যুগের প্রায় প্রতিটি মানুষেরই ডায়াবেটিস রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ শীতকালীন সবজির উপকারিতা সুন্দরভাবে জেনে নিন
এর জন্য মিষ্টি খাবার কম খেতে হয়। অনেকের মিষ্টি খাবার খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার
জন্য খেতে চায় না।এগুলো বেশি শহরের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। অনেক গ্রামে এখনো
এই পিঠাপুলির উৎসব হয়। যারা কাজের ক্ষেত্রে শহরে থাকে তারা শীতের সময় একবার
হলেও পিঠা খাবার জন্য গ্রামে যাই।
বেশিরভাগ গ্রামের কৃষকরা এ সকল পিঠা খাওয়ার উৎসব অনেক আত্মীয়-স্বজন কে
বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে পিঠা খাবার জন্য নিয়ে আসে। কারণ কৃষকেরা ঘরে ঘরে নতুন
ধান এবং নতুন গুড় তৈরি করে। তাই সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন পিঠা তৈরি করে। এই
উৎসবকে নতুন বছরের উৎসব অথবা নবান্ন উৎসব বলা হয়।
শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি
শীতের মধ্যে যে পিঠাপুলি তৈরি হয় সেটা গ্রামীণ বাংলার একটি সাংস্কৃতিক এবং
গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অতীত কাল থেকেই এই শীতকাল এবং শীতকালের পিঠা নিয়ে বিভিন্ন
উক্তি তুলে ধরেছেন।
শীতের সময়
প্রতিটি বাঙালি ঘরে এই পিঠার উৎসব শুরু হয়। কারণ বাঙ্গালীদের কাছে এটা একটি
জনপ্রিয় খাবার। শীতের এই পিঠা প্রতিটি বাঙালি ঘরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই
আপনাদের এই আর্টিকেলটি দ্বারা শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি সম্পর্কে জানাবো।
শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি
১ঃ পিঠা নিয়ে এলো শীতের মুড়ি দাদী নানী তোমরা বলো আছো কোথায় কই।
২ঃ ভাপা পিঠা খাওয়ার শৈশবের শীতকাল গুলো আমরা হারিয়ে ফেলেছি কেন
আমাকে।
৩ঃ শীতের পিঠা খেতে কার না মন চাই গ্রামের ঘরের শীতের ভরে পিঠার স্বাদ
সবাই পাই।
৪ঃ কত রঙের পিঠা দেখা পাবো দেখে মন গো ভোরে সবাই মাদব খুশির দোলায়।
৫ঃ শীতের পিঠা মেলা বসবে এবার গ্রামের মাঠে শিশুরা তাই মেলায় যাবে যাবে
না আর পাঠে।
[সংগৃহীত]
শীতের পিঠা নিয়ে কবিতা
প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমরা শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই এখন
আমরা আপনাদের কাছে একটি শীতের পিঠার সুন্দর কবিতা তুলে ধরবো। এই কবিতাটা পড়তে
আপনার অনেক ভালো লাগবে কারণ এই কবিতাটা অনেক সুন্দর। কবিতার কথা বললে আমাদের
ছোটবেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। যখন আমরা স্কুলে অনেক কবিতা পড়তাম। আজ
আপনি এই কবিতাটি পড়লে আপনার ছোটবেলায় হারিয়ে যাবেন।
শীতের পিঠা
____আলী আকবর হিমু
পাঠালি গুড় শীতের পিঠা,
খেতে মজা গন্ধ মিঠা,
খেজুর রসে ধোঁয়া গরম,
নতুন চালের পিঠা নরম,
পরব চলে সারা বাড়ি
পিঠা নিয়ে কাড়াকাড়ি,
পিঠা পুলি মিষ্টি রসাল,
চুলার ওমে শীতের সকাল,
পিঠা যাবে কুটুম পাড়া,
ভোরের আগে ভীষণ তারা,
নবান্নে তাই শীতের ভোরে,
পিঠা রসের গন্ধ উড়ে,
শীতের পিঠা তৈরির নিয়ম
আমরা অনেকেই পিঠা খেতে পছন্দ করি। কিন্তু অনেকে পিঠা তৈরির নিয়ম জানেনা সে
ক্ষেত্রে এত প্রিয় খাবার খাওয়া হয় না। আজ আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়লে দুই
রকমের পিঠা তৈরির নিয়ম জানতে পারবেন। এতে আপনারা অনায়াসে পিঠাগুলো বানিয়ে
শীতকালে উপভোগ করতে পারবে। তাই আপনারা অনেক গুরুত্বের সহিত এই পিঠা তৈরীর নিয়ম
গুলো পড়ুন, তাহলে আপনি অনায়াসে সুন্দরভাবে এই পিঠাটা তৈরি করতে পারবেন। আমি
আপনাদের সহজ ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করব।
রস পিঠা বা চিতই পিঠা
উপকরণঃ রস পিঠা বানানো অনেক সহজ। চিতই পিঠা বানানোর জন্য যে সকল
উপকরণ প্রয়োজন।
দুই কাপ আতপ চালের গুড়া, হাফ কাপ ময়দা, দুধ টেস্ট অনুযায়ী পরিমাণমতো দিবেন,
হাফ চামচের একটু কম খাবার সোডা, গুড় আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী কম বেশি করে নিতে
হবে, পরিমাণ মতো লবণ, এলাচ তিনটা, দারচিনি তিন টুকরো, তেজপাতা দুইটা।
তৈরির নিয়মঃ
একটি বড় পাত্রে চালের বুড়া এবং ময়দা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।ভালোভাবে মেশানো
হয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম দুধ অথবা পানি দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে নিতে হবে। না
ঘন না পাতলা একটি আঙ্গুল ডুবিয়ে দেখবেন যদি দেখেন আঙ্গুলে মিশ্রণটি লেগে
যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার মিশ্রণটি ঠিক আছে। দুধ দিয়ে গোলালে টেস্ট ভালো আসে।
এখন মিশ্রণটি এক ঘন্টার জন্য চাপা দিয়ে ঢেকে রাখুন পিঠা বানানোর কিছুক্ষণ আগে
পরিমাণ মতো লবণ এবং খাবার সোডা মেশাতে হবে।
এবার পিঠা ভেজানোর জন্য রস তৈরি করে নিতে হবে। রস তৈরি করার জন্য আপনারা যেরকম
মিষ্টি খাবেন সেই অনুপাতে গুড় নিয়ে নিবেন।তার সঙ্গে দুই কাপ পানি মিশিয়ে তার
সঙ্গে এলাচ, দারুচিনি এবং তেজপাতা দিয়ে চার-পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবং
আপনাদের পরিমাণমতো যতটুক দুধ দিবেন সেটা ভালোভাবে ফুটিয়ে নামিয়ে রাখুন।
দুইটা যখন হালকা কুসুম গরম থাকবে তখন দুইটি মিশ্রণ একত্রে করে দিবেন।গরম
অবস্থায় অথবা চুলার ওপর থাকা অবস্থায় দুধ এবং গুড় একত্রে করলে দুধ ছানা হয়ে
যাবে।এবং দুধ চিতায় পিঠার যে সুন্দর কালারটা কালচে হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।তাই
অবশ্যই ঠান্ডা হবার পরই দিবেন। এরপর আটা এবং ময়দা দিয়ে যে মিশ্রণটি তৈরি
করেছিলেন সেটা দিয়ে পিঠা বানিয়ে নিন এবং সঙ্গে সঙ্গে দুধ এবং গুড়ের মিশ্রণের
মধ্যে পিঠাটা দিয়ে দিন এভাবেই চিতই পিঠা তৈরি হয়ে যাবে।
রস বিস্কুট পিঠা
উপকরণঃ বিস্কুট পিঠা তৈরির জন্য যে সকল উপকরণ প্রয়োজন। ময়দা দুই কাপ,
এক কাপ চালের গুড়া, এক চামচ কালিজিরা, 2 কাপ পানি, দেড় লিটার দুধ, হাফ চামচ
লবণ, খাবার সোডা হাফ চামচের কম, এলাচ তিনটা, দারচিনি তিন টুকরা, তেজপাতা দুইটা,
পরিমাণ মতো তেল, পরিমাণমতো চিনি।
রস বিস্কুট পিঠা তৈরির নিয়মঃ
চালের গুড়া ,আটা এবং কালিজিরা একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার চুলায় তিন
কাপ দুধ ফুটিয়ে নিন, ফুটানো দুধের মধ্যে আটার মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এবং ভালোভাবে
নাড়তে থাকুন ভালোভাবে মিশে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হয়ে যাবার পর
অনেকক্ষণ ধরে ভালোভাবে মেখে রুটির মত করে ডো তৈরি করে নিন। ভালোভাবে মাখা হয়ে
গেলে একটি সুতির কাপড় ভিজিয়ে ময়দার ডো ভালোভাবে জড়িয়ে রাখুন। কারণ বাতাস
লাগলে ডো টা শক্ত হয়ে যাবে। এরপর আপনারা যেভাবে রুটি তৈরি করেন,তার চেয়ে একটু
মোটা করে বেলে নিন।এবং আপনাদের ইচ্ছা মত বিভিন্ন সেপে কেটে নিবেন।
অথবা বরফির মত করে কাটতে পারেন, এবার সবগুলো বানানো হয়ে গেলে চুলায় তেল গরম
করে লাল লাল করে পিঠাগুলো ভেজে নিতে হবে। পিঠাগুলো ভাজা হয়ে গেলে ঠান্ডা হবার
জন্য রেখে দিন। এরপর আপনাদের টেস্ট অনুযায়ী চিনি নিয়ে তার সঙ্গে দুই কাপ পানি
এবং এলাচ,দারচিনি, তেজপাতা দিয়ে পাঁচ ছয় মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে নেন।এবার
আলাদা করে যতটুক দুধ বেঁচেছে সেটা ফুটিয়ে নিন। এবং এই মিশ্রণগুলো হালকা ঠান্ডা
হয়ে গেলে একত্রে মিশিয়ে দিন। এবং ভাজা পিঠাগুলো এর মধ্যে ঢেলে দিয়ে এক ঘন্টা
ভিজিয়ে রাখুন তাহলেই রস বিস্কুট পিঠা তৈরি হয়ে যাবে। আপনারা বানিয়ে দেখবেন
অনেক মজা লাগে।
শীতের বিভিন্ন পিঠার নাম
শীতের সময় আমরা বিভিন্ন রকমের পিঠা খেয়ে থাকি।এ সকল পিঠা গুলোর মধ্যে গ্রামীণ
বাংলার কিছু প্রচলিত পিঠার নাম আজ আপনাদের কাছে তুলে ধরবো। আপনারা সম্পূর্ণ এই
আর্টিকেলটি পড়ে শীতের পিঠা নিয়ে উক্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাই এখন শীতের
পিঠার বিভিন্ন নাম জানুন যা আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি। এবং এ সকল পিঠা গুলা
বহুল পরিচিত।
- চিতই পিঠা,
- নকশী পিঠা,
- মালপোয়া,
- পাটিসাপটা,
- পুলি পিঠা,
- রস বিস্কিট পিঠা,
- ভাপা পিঠা,
- মালাই পিঠা,
- তেল পিঠা,
- ঝাল পিঠা,
শীতের পিঠা নিয়ে স্ট্যাটাস
শীতের সময় পিঠা খেতে চায় না এমন মানুষ অনেক কম দেখা যায়। শীতকাল আসলে নতুন
বুড়ের আগমন ঘটে গ্রামবাংলায় সকাল বেলায় চারিদিকে গুড়ের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে
পড়ে। গুড়ের মিষ্টি গন্ধ নাকে আসলে যেন পিঠা খাবার ইচ্ছা আরো অনেক বেড়ে যায়।
আর এই নতুন বউর দিয়ে পিঠা তৈরি করলে তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। এই গুড় দিয়ে
আমরা বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু পিঠা তৈরি করতে পারি। শীতকাল বাঙালি মানুষদের পিঠা
উৎসবের সময়। কারণ এটা বাঙ্গালীর মধ্যেপ্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়েছে।
শীতের পিঠা নিয়ে স্ট্যাটাস
- উড়ছে পাখি দিচ্ছে ডাক কুয়াশা আসে ঝাঁক ঝাঁক খেজুর গাছে রসের হাড়ি আমি আসি তোমার বাড়ি উঠবে মাঝি তোর ব্যাপার বন্ধুকে জানাই শুভ সকাল।
- পিঠা খাব খেজুর রসে শীতের রোদে বসে তোমরা বানাও অধিক পিঠা কোমর বেঁধে কষে।
- আহা কত রঙের পিঠা, দেখা পাব দেখে মন ভরে সবাই মাদবর খুশির খেয়াই ।
- পিঠা যাবে কুটুমপাড়া ভোরের আগে ভীষণ তারা শীতের ভোরে পিঠার গন্ধে ভরে।
- শীতকাল চলে এসেছে আমি জানি না আমরা কতদিন পর্যন্ত ভাপা পিঠা খাবেন না।
[সংগৃহীত]