তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা - তিসি দিয়ে রূপচর্চা

 
তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা - তিসি দিয়ে রূপচর্চা

পোস্ট সূচীপত্রঃ তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা - তিসি দিয়ে রূপচর্চা

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা , তিসি দিয়ে রূপচর্চা,তিসি মুখে দিলে কি হয়, তিসি গুড়া করার নিয়ম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

তিসি দিয়ে রূপচর্চা

তিসি সম্পর্কে আমাদের সবারই , মোটামুটি ধারণা আছে, আগে এই তিসির চাষ অনেক বেশি হত। কিন্তু এখনকার সময়ের তিসির চাষ আর তেমন একটা দেখা যায় না খুব কম। তিসি যে আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা যদি আমরা জানতাম তাহলে তিসি চাষ বন্ধ হতো না। তিসি শুধু আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে না, এটি আমাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবং রূপচর্চার কাজেও ভীষণভাবে একটি উপকারী বীজ। তিসি ব্যবহারে আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হতে পারে। আমরা অনেকে জানি না যে তিসি আমাদের রূপচর্চার কাজে এতটা প্রয়োজন বা এত ভালো কাজ করে। আমরা অনেক টাকা পয়সা খরচ করে বাজার থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিনে ত্বকে ব্যবহার করে থাকি।
অনেক সময় এগুলো ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই প্রাকৃতিক কোন উপাদান ত্বকে ব্যবহার করলে তা ত্বকে কোন সাইড ইফেক্ট দেখা দেয় না। কাজ না করলেও ক্ষতি করে না। আজ আমি আপনাদের সাথে তিসি দিয়ে কিভাবে খুব সহজে বাড়িতে বসে ত্বককে সুন্দর রাখতে পারেন। সেই বিষয়ে সুন্দরভাবে জানানোর চেষ্টা করব। তিসি আপনারা ত্বকে কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটাও সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে খুব সুন্দর ভাবে তিসির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ত্বকে তিসি কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটাও জানতে পারবেন।

তিসি আপনারা বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন, তার মধ্যে আমি দুইটা ব্যবহারের নিয়ম জানাবো যা আপনারা খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং ত্বকের সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

(১)প্যাক তৈরির নিয়মঃ একটি পরিষ্কার পাত্র নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন এবং তার মধ্যে এক কাপ পানি দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ভালোভাবে ফোটানো হয়ে গেলে তার মধ্যে দুই চামচ তিসির বীজ দিয়ে তিন থেকে চার মিনিট ফুটিয়ে নিন যখন দেখবেন জেলের মত হয়ে আসছে তখন চুলাটি বন্ধ করে দিবেন। এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন এবং একটি পরিষ্কার ন্যাকড়া বা কাপড় দিয়ে জেলগুলো ছেকে বের করে নিন। এরপর জেল গুলো একটি বাটিতে ঢেলে নিয়ে তার মধ্যে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এক চামচ মধু এবং এক চামচ এলোভেরা জেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।

ব্যবহারের নিয়মঃ ১০ মিনিট পর জেলটি ব্যবহার করতে পারবেন। এবার মিশ্রণটি সমস্ত ত্বকে হালকা হাতে ঘষে ঘষে বা মাসাজ করে ব্যবহার করুন এভাবে আপনারা দুই মিনিট মাসাজ করুন। এরপর ৩০ মিনিটের জন্য ত্বকে লাগিয়ে রাখুন এবং ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হালকা হাতে ঘষে ঘষে প্যাকটি উঠিয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনারা সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন সকালে অথবা ঘুমাতে যাবার আগে তাহলে কাল ভালো হয়। তাছাড়াও আপনারা শুধু তিসি বীজ থেকে যে জেলটা বের হয় সেটা আপনারা প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে ব্যবহার করতে পারেন এতেও ত্বকের অনেক উপকার হয়। এই তিসির বীজ ব্যবহারে আপনাদের ত্বকের বলিরেখা, ব্রণের দাগ, মেছতা, ত্বকের শুষ্কতা দূর করে, ব্রণের সমস্যা এবং আরো ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।

(২)প্যাক তৈরির নিয়মঃ ২ চামচ তিসি শুকনো খোলায় হালকা রোস্ট অথবা ভেজে নিন। এবং একটু ঠান্ডা হলে ভালোভাবে পালিশ করে গুড়ো করে নিন এবং একটি পরিষ্কার কোটায় ঢেলে রাখুন। এভাবে তিসি গুঁড়ো করে এক মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে। এবং ত্বকে ব্যবহার করতেও অনেক সুবিধা হয়। যাদের ত্বকের প্রচুর ব্রণের সমস্যা এবং অতিরিক্ত তেল বের হয় তাদের জন্য এই প্যাক ভীষণ উপকারী। এই প্যাকটি ব্যবহার করলে আপনারা অবশ্যই ভালো ফল পাবেন ইনশাল্লাহ। কারণ এটি আমি নিজে পরীক্ষিত। একটি পরিষ্কার পাত্র নিয়ে তার মধ্যে তিন চামচ বেলের পাতার রস এবং এক চামচ তিসি গুঁড়া ও হাফ চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন।

ব্যবহার করার নিয়মঃ ৩০ মিনিট পর এই প্যাক টি আপনারা সমস্ত মুখে বা ত্বকে এপ্লাই করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত শুকিয়ে হালকা টানটান ভাবনা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর শুকিয়ে গেলে হালকা হাতে মাসাজ করে ঘষে ঘষে মিশ্রণটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এভাবে আপনারা এক সপ্তাহ ব্যবহার করে দেখুন, আপনাদের ত্বকের ব্রণের সমস্যা ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে। নিয়ম অনুসারে এই প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে তাহলেই ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাল্লহ।

তিসি মুখে দিলে কি হয়

তিসি মুখে দিলে আপনাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। তিসি মুখে দিলে অথবা ত্বকে ব্যবহার করলে আপনারা যে সকল উপকার গুলো পাবেন তা আমি আপনাদের সঙ্গে এই আর্টিকেল টির মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব। তিসি তে যে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি আমাদের ত্বক ভিতর থেকে মশ্চারাইজার করতে ভীষণভাবে সাহায্য করে। ত্বক মশ্চারাইজার থাকলে ত্বকে যে বিভিন্ন ডার্ক সার্কেল দেখা যায় তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কারণ প্রকৃতি এক এক সময় একেক রকম থাকে। কখনো বা অনেক ঠান্ডা আবার কখনো অনেক গরম আবার কখনো অঝোরে বৃষ্টি। আর এই ঋতু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই এই মৌসুমে রূপচর্চার কাজে আপনারা তিসি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। আর এই তিসির ইংরেজি নাম হল ফ্ল্যাক্স সিড। প্রাচীনকাল থেকেই এই তিসি বীজ থেকে উৎপাদিত তেল এবং জেল ত্বকের সুন্দর বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে।

এই ছোট ছোট কিছু বীজ আমাদের ত্বকের বহুমুখী সমস্যা সমাধান করতে ভীষণ উপকারী। বলা বাহুল্য যে তিসি ত্বকের জন্য একটি জাদুকরী উপাদান। আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে অনেক সাহায্য করে আর ব বলিরেখা হলো বয়সের আগেই বয়সের ছাপ চলে আসা। আর কেউ যদি নিয়মিত তিসির তেল ত্বকে ব্যবহার করে। তাহলে তার ত্বকে বয়সে ছাপ পরবে না। আর তিসির তেলে যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি থাকে তা ত্বকের ভেতর থেকে ত্বক মশ্চারাইজার করতে সাহায্য করে।তিসির জেলে থাকা আলফা লাইনোলেনিক অ্যাসিড আমাদের ত্বককে যে কোন সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে বা রক্ষা করতে পারে।

অনেক সময় আমাদের ত্বক অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যায় আর এই অস্বাভাবিক ফুলে যাওয়া ভাব এই তিসির তেল ব্যবহারে কমে যায়। তাছাড়া অনেক সময় ত্বকে বিভিন্ন রকমের র‌্যাশ বের হয়, লালচে ভাব, এবং ঘাম জনিত সমস্যা দূর করে। যাদের ত্বক অনেক শুষ্ক তাদের ত্বকে এই তিসির তেল ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্ক ভাব কাটিয়ে ত্বকের ভারসাম্য রক্ষা করে, ত্বকের টিস্যু নিয়ন্ত্রণ রাখে। অনেক সময় আমাদের ত্বকের এক জায়গায় কালো আরেক জায়গায় সাদা সাদা দেখা যায় এই তিসির তেল ব্যবহারে ত্বকের অসামঞ্জস্যতা দূর করে।

তিসি গুড়া করার নিয়ম

আজ আমি আপনাদের তিসি বীজ গুড়া করার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। যে কিভাবে তিসি বিজ গুড়া করতে হয়। আর এই তিসি বীজ গুড়া করার কিছু নিয়ম রয়েছে যা আপনারা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে খুব সহজে জানতে পারবেন। আরে পিসি বীজ গুড়া করার জন্য কিছু সিস্টেম রয়েছে তা আমি আজ আপনাদের বলে দেব। গুড়া করার জন্য প্রথমে তিসি গুলো ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদ্রে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।

তারপর একটি শুকনো খোলা চুলার ওপর বসিয়ে হালকা মিডিয়াম তাপে পাঁচটি গরম করে নিতে হবে। এরপর পাত্রটি হালকা গরম হয়ে গেলে তিসি বীজগুলো পাত্রর মধ্যে ঢেলে দিয়ে চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখতে হবে, জোরে তাপ দেওয়া যাবে না তাহলে তিসি বীজগুলো পুড়ে যাবে। এরপর হালকা তাপে আস্তে আস্তে চামচ দিয়ে নেড়েচেড়ে ভাজতে থাকুন। খুব বেশি ভাজা যাবেনা দুই মিনিট নেড়েচেড়ে ভেজে নিলেই হবে বেশি ভাজলে বীজ এর গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাবে।

দেখবেন যখন বীজগুলো হালকা ফুটতে শুরু করবে তখনই চুলা থেকে পাত্রটি নামিয়ে রাখুন ।এরপর দশ মিনিটের জন্য বীজগুলো ঠান্ডা করে হালকা টেম্পারেচারে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। যখন দেখবেন বীজগুলো হালকা হালকা গরম আছে সেই অবস্থায় ব্লেন্ডার অথবা পাটায় ভালোভাবে গুঁড়ো করে নিন। এবার একটি কাঁচের বয়োম নিয়ে তার মধ্যে রেখে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। এভাবে গুড়া করলে বীজগুলো অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে ও বীজের গুণগত মান নষ্ট হয় না।

তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা

তিসির বীজের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না এতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। আর এ বীজ টি সঠিক নিয়মে এবং পরিমাণ মতো না খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। তাই যেকোনো জিনিস খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানা প্রয়োজন ।তিসির বীজ আপনারা কোন সময় কাঁচা খাবেন না, এটি হালকা রোস্ট করে বা ভেজে গুড়ো করে প্রথমত প্রতিদিন সকালে হাফ চামচ হালকা কুসুম গরম পানির সঙ্গে খাবেন তারপর যদি মনে করেন এটি আপনার শরীরের স্যুট হয়ে গেছে বা উপকার পাচ্ছেন, তারপর আপনারা আস্তে আস্তে এক চামচ করে খাওয়া শুরু করবেন এভাবে খেতে থাকলে । আশা করি আপনারা এর উপকারিতা লাভ করবেন। কারণ এই ছোট্ট বীজ টি আপনার শরীরের রোগ মুক্ত করতে পারদর্শী।

তিসির কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনঃ
 
হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করেঃ তিসির বীজে যে স্বাস্থ্যসম্মত ফাইবার রয়েছে বা পাওয়া যায়। আমাদের শরীরে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১২% ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে এই তিসি বীজ। আমাদের হজম বাড়াতে ও দ্রুত হজম করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর হজম করার ক্ষমতা বেড়ে গেলে আপনারা গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করেঃ তিসি বীজে ফাইবার থাকার কারণে এটি পাকস্থলীর কাজ দ্রুত করতে বা উন্নত করতে সাহায্য করে এর ফলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মত কষ্টদায়ক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর কষ্ট কাঠিন্যর সমস্যা বেড়ে গেলে আস্তে আস্তে এই রোগটি পাইলস রূপে ধরা দেয়। পাইলস হওয়ার ফলে রক্ত পড়া শুরু হয় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এই তিসি বীজর বুঝার প্রয়োজন।

চুলের পুষ্টিতে তিসির উপকারিতাঃ আপনাদের চুলকে সুন্দর রাখতে ও মজবুত করতে কোন দামি প্রোডাক্টের প্রয়োজন নেই। হাফ কাপ তিসির বীজ আপনাদের চুলের প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি পূরণ করতে সক্ষম। তিসি বীজে যে ভিটামিন ই রয়েছে তা আমাদের চুলের ড্যামেজ সাড়াতে এবং চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাছাড়া তিসি বীজে যে ওমেগা ৩ রয়েছে তা আমাদের চুলের গোড়া মজবুত করতে, নতুন চুল গজাতে ও চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ যাদের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়। তারা প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকালে এক চামচ করে তিসি গুড়া খেতে পারেন। এতে আপনাদের ওজন দ্রুত কমে যাবে। কারণ তিসি বিজে যে ফাইবার রয়েছে তা খোদা কমাতে সাহায্য করে ।আর ফাইবার জনিত যে কোন খাবার খেলে পেট ভর্তি মনে হয়, আর খোদা কম লাগলে খাওয়া দাওয়া কম হবে এবং ওজন তাড়াতাড়ি কমে যাবে।

ব্রেনের কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করেঃ আমাদের মধ্যে এমন কোন মানুষ দেখা যায় না যে সে চায় তার ব্রেন যেন বৃদ্ধি না হয় সবাই চাই সবার ব্রেন বৃদ্ধি হয়। আমরা নিয়মিত অনেক খাবার খেয়ে থাকি সেগুলোতে মস্তিষ্ক বা ব্রেন বৃদ্ধি করে। আর সেই খাবারের মধ্যে একটি হলো তিসি বীজ।তিসি বীজে খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে আলফা-নিলোনেলিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই এসিড আমাদের ব্রেনকে কার্যকরী করতে সাহায্য করে। আর স্মৃতিশক্তিও বেড়ে যায়।
তিসির অপকারিতা জেনে নিনঃ আমাদের শরীর ভালো রাখতে তিসির বীজের উপকারের কোন বিকল্প হয় না। আর যদি এই বীজ ঠিক মত খেতে না জানলে বা অতিরিক্ত মাত্রায় খেয়ে ফেললে এটি অনেক বিপদজনক হতে পারে। তাই যে কোন খাবারের যেমন ভাল গুনাগুন রয়েছে তেমন এর অপকারিতাও রয়েছে। তাই যে কোন খাবার নিয়ম অনুসারে সঠিক মাপে খাওয়া প্রয়োজন।

পেট খারাপঃ কেউ যদি না জেনে তিসির বীজ কাঁচা খেয়ে নেয় বা অতিরিক্ত মাত্রায় তিসির বীজ খেয়ে থাকে তাহলে এর সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে। কেন না তিসির কাঁচা বীজ হজম হতে সময় লাগে তাই কাঁচা বীজ খাওয়া ঠিক নয়, এতে পাতলা পায়খানা ও পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর অতিরিক্ত খেলেও একই সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই দিনে দুই চামচের বেশি তিসির বীজ খাবেন না।

গর্ব অবস্থায়ঃ কোন গর্ভবতী মহিলা যদি গর্ব অবস্থায় তিসির বীজ খাওয়া শুরু করেন এতে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন বা অপকারিতা হতে শুরু করে যার ফলে বাচ্চা এবং মায়ের মারাত্মক ক্ষতি হবার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রেগন্যান্ট মহিলাদের এই প্রাকৃতিক উপাদানটি খাওয়া ঠিক নয় ।

ব্লাড প্রেসারঃ অনেক মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত পরিমাণে তিসির বীজ খেয়ে থাকেন এর ফলে তাদের ব্লাড প্রেসার অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যেতে পারেন। তাছাড়াও অতিরিক্ত তিসির বীজ খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া আরো যেমন মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।তিসির উপকারিতা ও অপকারিতা তিসি দিয়ে রূপচর্চা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url