লো প্রেসার হওয়ার কারণ - লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

  

প্রিয় পাঠক আপনি লো প্রেসার হওয়ার কারণ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন এ বিষয়নিয়ে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে লো প্রেসার হওয়ার কারণ সম্পর্কে আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ জানাব। যদি আপনি কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আপনার কাংখিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু লো প্রেসার হওয়ার কারণ নয় আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি । আপনি যদিপয়েন্ট গুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণটা পড়ুন.

পোস্ট সূচীপত্র:লো প্রেসার হওয়ার কারণ - লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে লো প্রেসার হওয়ার কারণ, লো প্রেসার কমানোর উপায়, লো প্রেসারে  কি খাওয়া উচিত,লো প্রেসারের লক্ষণ, লো প্রেসার কি হার্ট অ্যাটাক হয়, লো প্রেসার এর সমাধান, হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি.
লো প্রেসারের খাবার

লো প্রেসার হওয়ার কারণ

প্রেসার হাই হওয়া ও লো হওয়া উভয়টাই খারাপ হাই প্রেসার অর্থাৎ শরীরের রক্তের চাপ বেড়ে যাওয়া। লো প্রেসার, অর্থাৎ শরীরে যে পরিমাণ রক্ত দরকার তার থেকে কমপরিমান থাকা।
প্রেসার লো বিভিন্ন কারণে হতে পারে রক্তশূন্যতায়, পানি শূন্যতায়, রক্তক্ষরণে, বমি হওয়াতে, অধিক পরিমাণে ডায়রিয়া হওয়াতে,হৃদরোগ থেকেও লো প্রেসার হতে পারে, থাইরয়েড, হরমোন জনিত সমস্যার কারণেও লো প্রেসার হতে পারে।

লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায়

লো প্রেসার কমানোর ঘরোয়া উপায় অনেকগুলো রয়েছে তন্মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত প্রেসার বাড়াতে এক গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ চিনি সাথে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে অতি দ্রুত প্রেসার বাড়ে. ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত পেশার উঠাই। যদি কোন সময় দেখেন হঠাৎ করে প্রেসার লো হয়ে গিয়েছে তাহলে সাথে সাথেএক কাপ কফি খান দ্রুত প্রেসার বেড়ে যাবে।

লো প্রেসারে কি খাওয়া উচিত

লো পেশারে যে খাবারগুলো খাওয়া উচিত সেগুলো হল পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার, শরীরে যদি পানি  শূন্যতা দেখা দেয় তখন রক্তের ঘনত্ব কমে যায় এতে রক্তের চাপ কমে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাওয়া প্রয়োজন যেমন ফলের রস , দুধ,স্যালাইন পানি. লেবু চিনি লবণ মিশ্রিত পানি পান করার দ্বারা রক্তচাপ বাড়তে থাকে।

প্রেসার লো হওয়ার লক্ষণ

পেশার লো হলে শরীরে ক্লান্তি ভাব,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চক্ষু দিয়ে ঝাপসা ও অস্বাভাবিক দেখা, বমি বমি ভাব হওয়াশ্বাস প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া, মাথা ঘোরা। দাঁত মাড়ি  এটে আসা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষেরস্বাভাবিক প্রেসার থাকে আসি ১২০/ ৮০।আর প্রেশার যদি লো হয়ে৯০/৬০ কম বেশি থাকে। আমাদের প্রেসার লো হয়ে গেলে প্রেসার লো হয়ে গেলে ডাক্তারের সর শরণাপন্ন হতে হবে বা ঘরোয়া ভাবে চিকিৎসা নিতে হবে।

লো প্রেসারে কি হার্ট এটাক হয়

লো ব্লাড প্রেসার এর রোগীদের, হৃদরোগ,কিডনি সমস্যা,ও স্টক হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে. লো ব্লাড প্রেসারের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে খুব বেশি নিচে নেমে গেলে  সেক্ষেত্রে রোগীর মাথাব্যথা, শরীর দুর্বলতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অনেক ক্ষেত্রে রোগী মারাও যাই, অতএব বিপদ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। রোগী অস্বাভাবিক হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে.

লো প্রেসারের সমাধান

লো প্রেসার এর সমাধান খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো করতে হবে, সময়মতো ঘুমাতে হবে, টেনশন থেকে মুক্ত থাকতে হবে, খাবারের তালিকায় ডিম, দুধ, ফলমূল ,রাখতে হবে. যাতে করে প্রেসার স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে .মাঝে মাঝে প্রেশার চেকআপ করাতে হবে. চেক আপের পরে যদি  রিপোর্টে পেশার লো আসে তাহলে প্রেসার বাড়ানোর জন্য খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করতে হবে.  তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে , যে কোনো  কাজ মনোযোগ সহকারে করতে ভালো লাগবে।

হঠাৎ প্রেসার লো হলে করণীয়

হঠাৎ প্রেসার লো হয়ে গেলে একটি স্যালাইন বানিয়ে খেয়ে নিতে হবে এতে তাৎক্ষণিক প্রেসার বেড়ে যাবে .যদি হাতের নাগালে স্যালাইন না পান তাহলে আধার লিটার পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে দিন আর এক মুষ্টি গুড় অথবা চিনি দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে খেয়ে নিন তাহলে তাৎক্ষণিক পেশার   স্বাভাবিক কে চলে  আসবে .এরপর যদি আপনি চান ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক লো প্রেসার হওয়ার কারণ, প্রেসার বাড়ানোর উপায় সংক্রান্ত বিষয়ে আপনি জেনেছেন যদি আপনার কাছে আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা লো পেশার সম্পর্কে জানে না তাদের কাছে দয়া করে শেয়ার করুন আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতেওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন.
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url