পানি পানে যে ৬ টি আমল করতেন বিশ্বনবী সহজে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না ।আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী জানানোর চেষ্টা করব । যদি আপনি পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবীওপানি পড়া কি জায়েজ তা জানতে চান জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরুতশেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আশা করি গান খেতে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। 
পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী সহজে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে শুধু পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবীওপানি পড়া কি জায়েজ ,এ পয়েন্ট নিয়েই আলোচনা করা হয় নাই ।এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি সে পয়েন্টগুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহল আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব মনোযোগ ও গুরুত্ব সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃপানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী সহজে জেনে নিন

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী , পানি পড়া কি জায়েজ , পানি পান করার দোয়া কি ?কতক্ষন পর পর পানি খাওয়া উচিত , মুখ না ধুয়ে পানি পান হাদিসে কোন পানিকে খাদ্য বলা হয়েছে  ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি সবিস্তারে জানতে চান তাহলে প্রতিটি পয়েন্ট মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

পানি পানে যে ৬ টি আমল করতেন বিশ্বনবী

এবাদত শুধুমাত্র নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত পালন করায় এবাদত নয় বরং মুসলমানের প্রতিটা কাজ , কথাবার্তা চলাফেরা , ওঠাবসা ঘুমানো খাওয়া-দাওয়া , এমনকি পানি পান করা ও এবাদত । যদি হয় সেটা আল্লাহ তাআলার হুকুম অনুযায়ী এবং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদ্ধতি অনুযায়ী।তাহলে সেটা ইবাদত বলে গণ্য হবে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী সে আমলগুলো হচ্ছে
বিসমিল্লাহ বলে পানি পান করা
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যখন তোমরা পানি পান কর তখন বিসমিল্লাহ বলে পানি পান কর (তিরমিজি) এই হাদিসটা যদিও পানি পানির ক্ষেত্রে বলেছেন বাকি প্রতিটা ভাল কাজ শুরু করার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত।

ডান হাতে পানি পান করা
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন , কখনো তোমরা খাবার বাম হাতে খাবেনা ।যখনই খানা খাবে ডান হাত হাত দ্বারা খাবে ।কেননা শয়তান বাম হাত দাঁরা খাবার খাই।      (মুসলিম।)
প্রতিটা তুলনামূলক ভালো কাজ ডান হাত দ্বারা বা ডান দিক দিয়ে করা উচিত ।এটাই রাসূলে কারীম সাঃ এর তরিকা বা পদ্ধতি।

বসে পানি পান করা
হাদিসের গ্রন্থ মুসলিম শরীফের মধ্যে এসেছে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যখন তোমার পানি পান করবে ,বসে পানি পান করবে। এমনকি সমস্ত স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের মতে বসে পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত । দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শারীরিক অনেক সমস্যা হতে পারে যেমনঃএকটি পানি হচ্ছে শ্বাসনালীতে  আটকিয়ে আটকে যেতে পারে। 

তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করা
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন যখন তোমার পানি পান করবে পানিটা চুষে চুষে পান কর এবং তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করো। দেখা যায় অনেকেই এক নিঃশ্বাসেই ধক ধক করে পানি পান করে ফেলে এটা অনুচিত , এটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। একসাথে পানি পান করলে শারীরিক অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে । তাই আমাদের তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করা উচিত ।

নিঃশ্বাস গ্লাসের পানির মধ্যে না ছাড়া
একটি হাদিসের গ্রন্থ তীব্রাণী শরীফ সে গ্রন্থের মধ্যে এসেছে পানি কিংবা কোন খাবারের মধ্যে নিঃশ্বাস ত্যগ না ছাড়ার কথা। মানুষ যে নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সেই নিঃশ্বাসে বিভিন্ন ধরনের  জীবাণু থাকে   সেই জীবাণুগুলো খাবার বা পানির সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে আবার আমার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে আমার শারীরিক অসুস্থতা ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। অতএব আমরা পানি পানের সময় পানির মধ্যে নিঃশ্বাস ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকবো।
পানি পানের পর আলহামদুলিল্লাহ পড়া
পানি পানির পর আমরা সকলেই আলহামদুলিল্লাহ বলবো। পানির অপর নাম জীবন বলা হয়েছে ,এটা আল্লাহতালা প্রদত্ত নেয়ামত , সেই নিয়ামত ভোগ করলাম সেজন্য আমরা আল্লাহরই আমরা প্রশংসা করব ,আমরা সকলেই আলহামদুলিল্লাহ বলে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব।পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী সেই আমলগুলি মুসলিম উম্মাহকে যেন অনুসরণ ও অনুকরণ করা তৌফিক দান করেন। (আমিন) পড়া

পানি পড়া কি জায়েজ

পানি পড়া কি জায়েজ । আসুন আসুন জেনে নেওয়া যাক যে পানি পড়ে সেই পানি খাওয়া জায়েজ কিনা এর উত্তর হলঃ যদি সেই পানি কোরআনের আয়াত এবং হাদিস অনুযায়ী দোয়ার মাধ্যমে পড়ে দম বা ফুক দেওয়া হয়। তাহলে সেই পানি পান করা জায়েজ এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি নাজায়েজ উপায়ে বা কুফরি কালামের মাধ্যমে অথবা টোটকা ইত্যাদি করে ফু দেয় সেই পানি পান করা ঠিক নয় ।

পানি পান করার দোয়া কি

পানি পান করার দোয়া পানি পান করার সময় এই দোয়া পড়তে হয় (বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম) পানি পান করার শেষে এই দোয়া পড়তে হয় আলহামদুলিল্লাহিল্লাযি যাআলাহু আজবান ফুরাতা বিরাহমাতিহি অলামঅ্যাজালহু মিলহান উজাজা বিজনুবিনা ।

কতক্ষণ পর পর পানি খাওয়া উচিত?

কতক্ষণ পর পর পানি খাওয়া উচিত। খাবারের মাঝে যদি পানি পানির পিপাসা না মিটে তাহলে খাবার শেষে সামান্য এক ঢোক পানি পান করবেন। খাবারের ঠিক ২০-৩০ মিনিট পরে পানি পান করবেন। হজম শক্তি ভালো হবে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে। যদি যদি একান্ত খাবারের মাঝে পানি খেতে হয় তাহলে অতি সামান্য পানি খাবে।

মুখ না ধুয়ে পানি পান

মুখ না ধুয়ে পানি পান ঘুম থেকে উঠে, মুখ না ধুয়ে পানি পান করা একেবারেই উচিত নয় ।কারণ ঘুমের মধ্যে মুখের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় ।আপনি যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ না ধুয়ে পানি পান করবেন ।সেই ব্যক্তিয়া গুলো শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই আমাদের সকালে মেসওয়াক বা ব্রাশ করে পানি পান করা উচিত।

হাদিসে কোন পানিকে খাদ্য বলা হয়েছে

হাদিসে কোন পানিকে খাদ্য বলা হয়েছে ।দুনিয়াতে অনেক ধরনের পানি রয়েছে কিন্তু কোন পানিকে খাদ্য বলেন নাই । ।একমাত্র আল্লাহতালার যে কুদরতি পানি । ইসমাইল আঃ এর পায়ের গোড়ালির আঘাতে যেই পানির ফোয়ারা জারি হয়েছে তাকে বলা হয় "জমজম" এই পানিকে খাদ্য বলা হয়েছে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী ও পানি পড়া কি জায়েজ যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা পানি পানে যে ৬ টি  আমল করতেন বিশ্বনবী জানেনা তাদের কাছে শেয়ার করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url