ইবাদত কাকে বলে ইবাদত কত প্রকার ও কি কি জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আপনি ইবাদত কাকে বলে জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর খুঁজে পাচ্ছেন না আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ ইবাদত কাকে বলে জানানোর চেষ্টা করব। যদি আপনি ইবাদত কাকে বলে ও এবাদত কত প্রকার ও কি কি জানতে চান । তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আশা করি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র ইবাদত কাকে বলে এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।যদি আপনি সে পয়েন্টগুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরুতে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃইবাদত কাকে বলে ইবাদত কত প্রকার ও কি কি?জেনে নিন
ভূমিকা
আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান আমরা জানতে চাই ইবাদত কাকে বলে , এবাদত কত প্রকার ও কি কি , ইবাদত বলতে কি শুধু নামাজ কে বুঝায় , ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত সমূহ কয়টি ও কি কি ইত্যাদি বিষয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়েন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন.
ইবাদত কাকে বলে
এবাদত শব্দের শাব্দিক অর্থঃ ইবাদত শব্দের শাব্দিক অর্থ গোলামী করা , দাসত্ব করা, অনুগত্য করা ইত্যাদি।
ইবাদত পারিভাষিক অর্থঃ পরিভাষায় ইবাদত বলা হয় আল্লাহ তায়ালা যে সমস্ত বিধি-বিধান পালন করার বিষয়ে আদেশ দিয়েছেন , সেগুলো পালন করা। আর যে সমস্ত বিধি-বিধানের বিষয়ে নিষেধ করেছেন , সেগুলো বর্জন করার নাম হলো ইবাদত। তাহলে আমরা ইবাদত কাকে বলে জানতে পারলাম।
ইবাদত কত প্রকার ও কি কি
ইবাদত কত প্রকার ও কি কি। ইবাদত কত প্রকার । সে বিষয়ে এখন আলোচনা করব ইবাদত তিন প্রকার
- শারীরিক শারীরিক এবাদত যাকে (ইবাদতে বাদানী বলে) অর্থাৎশারীরিক ইবাদত বলতে, যেই ইবাদত করতে করতে করতে শরীরের শক্তি ব্যয় হয় তাহাকে ইবাদতে বদানি বলে । যেমন নামাজ রোজা ইত্যাদি।
- আর্থিক ইবাদত যাকে ই(বাদতে মালি বলে) অর্থাৎআর্থিক ইবাদত বলতে বুঝায় যে ইবাদত করতে অর্থের প্রয়োজন হয়। যথা যাকাত , দান খায়রাত ইত্যাদি।
- বাদানি ও মালি ইবাদত অর্থাৎ যে ইবাদত করতে অর্থেরও যেমন প্রয়োজন হয় তেমন শরীরের শক্তি ও ব্যয় হয়। যথাঃ হজ। হজ এমন ইবাদত যে এবাদত করতে অর্থেরও যেমন প্রয়োজন হয় তেমন শারীরিক শক্তিরও প্রয়োজন হয় ।এজন্য এই ইবাদতকে মালি ও বাদানি ইবাদত বলে।
ইবাদত বলতে কি শুধু নামাজকে বোঝায়?
এবাদত বলতে কি শুধু নামাজকে বুঝাই? উত্তরঃ এবাদত বলতে শুধু নামাজকে বুঝায় বরং এবাদত বলতে বোঝায় আল্লাহ তালার যত হুকুম আহকাম বিধি-বিধান আছে সেগুলো পালন করা । এবং যত বর্জনীয় হুকুম আছে সেগুলো থেকে বিরত থাকার নাম এবাদত যথা
- নামাজ
- রোজা
- হজ
- যাকাত
- দান ছদকা
- কোরআন তেলাওয়াত
- উত্তম চরিত্র
- কোরআন তেলাওয়াত
- রাসুলের সুন্নত পালন
- সর্বাবস্থায় আল্লাহ তায়ালা স্মরণ
- হালাল উপার্জন
- সৎকাজে আদেশ করা
- অসৎ কাজকে বিরক্ত রাখা ইত্যাদি
আমরা এতক্ষন যাবত ইবাদত বলতে কি শুধু নামাজকে বোঝায়? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশা করি আপনারা সকলেই এ বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছেন
ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত সমূহ কয়টি ও কি কি
ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত সমূহ কয়টি ও কি কি। ইবাদত কবুল হওয়ার শর্ত চারটিশিরক মুক্ত ঈমানের সাথে এবাদত করাঃশির্ক মুক্ত ঈমানের সাথে ইবাদত করার অর্থ হলো। মুখে ও অন্তরে সমস্ত ক্ষমতার মালিক আল্লাহ তা'আলা এই কথাকে মুখ দ্বারা স্বীকারোক্তি দেওয়া। এবং অন্তর দারা বিশ্বাস করা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা বাস্তবায়ন করে দেখানো।
নিয়ত করাঃএবং করার আগে নিয়তকে ঠিক করা অর্থাৎ ওই এ বালটা আল্লাহ তায়ালার জন্য করছি নাকি অন্য কাউকে দেখানোর জন্য করছি। যদি আল্লাহ তাআলার জন্য করে থাকি সেই এবাদত আল্লাহতালা কবুল করবেন। অন্যথায় কবুল করবেন না।
সঠিক নিয়মে ইবাদত করাঃসঠিক নিয়মে এবাদত করা। যদি নিয়ম ঠিক না হয় তাহলে এবাদত কবুল হবে না যেমন গরু খাওয়া হালাল কিন্তু যদি আপনি সেই গরুটা ইচ্ছাকৃতভাবে বিসমিল্লাহ না বলে জবাই করেন তাহলে সেই গরু খাওয়া হালাল হবে না কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে পদ্ধতিতে গরু জবাই করতে বলেছেন সেই পদ্ধতি অনুযায়ী না হওয়ার কারণে হালাল খাদ্য হওয়ার পরেও সেটা হারাম হয়ে গেছে।
হালাল খাবারঃ হালাল খাবার খাওয়াইবাদত কবুল হওয়ার জন্য অন্যতম একটা শর্ত খাবারের অর্থ কি ইবাদত কারী ব্যক্তির আয় হালাল হতে হবে। এবং যে খাবারটা খাবে সেটাও হালাল বস্তু হতে হবে। এতক্ষণ যাবৎ আমরা এবাদত কবুল হওয়ার শর্ত কি কি সে বিষয়ে মোটামুটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলাম আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
শেষ কথা
এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন ইবাদত কাকে বলে। ইবাদত কত প্রকার ও কি কি যদি আপনার কাছে আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অনুগ্রহপূর্বক শেয়ার করুন । আর নতুননতুন আর্টিকেল পেতে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।