ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা  জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা ও ছাদে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন 
ড্রাগন ফল আমাদের প্রায় সবারই চেনা। ড্রাগন ফল একটি সুস্বাদু ফল যা ছোট থেকে বড় সবারই অনেক পছন্দ। তাই আর্টিকেলটির মধ্যে, ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা, ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা,ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা আরো অনেক পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ গুরুত্ব সহকারে পড়লে ড্রাগন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ুন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম

ড্রাগন আমরা সচরাচর সবাই খেতে জানি। যারা একেবারে নতুন তারা খেতে লাগলে একটু চিন্তায় পড়ে যায় এটা আবার কিভাবে খেতে হয়। কিন্তু আসলে ফলটি খাওয়া অনেক সহজ। এবং ফলটি খুব সহজেই কেটে নেওয়া যায়, সহজে খাওয়া যায়।

ফলটি খাওয়ার নিয়ম, ফলটি যখন পেকে লাল হয়ে যায়, তখন ফলটি খাওয়ার যোগ্য হয়। তারপর একটা বটি অথবা চাকু দিয়ে ফলটি দুভাগ করতে হয়। অথবা ,আপনারা এটি চার ভাগও করতে পারেন, এতে ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়াতে সুবিধা হয়।
এরপর আপনারা চামচ দিয়ে উঠিয়ে খেতে পারেন অথবা, আপনারা পাকা আমের খোসা যেভাবে ছাড়িয়ে খান, সেভাবেও এই ফলটি খেতে পারেন। এরপর ড্রাগনের মধ্যে যে নরম অংশটুকু থাকে সেটা আমের মতো চাকু দিয়ে অথবা বটি দিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটেও খেতে পারেন।

ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা

ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি ফল।গবেষণা করে দেখা গেছে ড্রাগন ফলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। ড্রাগন ফল হজমে সাহায্য করে।

ড্রাগন ফল আমাদের হাটকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে। কারণ এই ফলটির মধ্যে রয়েছে একটি আশ্চর্যজনক ক্ষমতা। যা আমাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টরের মাত্রাকে অনায়াসে কমিয়ে দেয়। আবার এটি ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রাকে বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

কারণ আমাদের হাটকে ভালো রাখার জন্য মনোসাচুয়েটেড সাহায্য করে। এবং এই মনোসাচুয়েটেড এর যে উপাদান রয়েছে, তা ড্রাগন ফলের মধ্যে বেশি পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে।

ড্রাগন ফলের অপকারিতা

আমরা জানি ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ।কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন, অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এই ফলটি আমাদের হজম শক্তিতে সাহায্য করে এবং পেটে ব্যথার সমস্যা থাকলে তা ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ড্রাগন ফলে অতিরিক্ত ফাইবার এর কারণে আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করতে পারে। এবং যাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে, তাদের এই ফলটি খাওয়ার আগে অনেক সতর্ক হতে হবে কারণ এতে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই ফলটির মধ্যে প্রাকৃতিক সুগার, আইরন, ও ফাইবার থাকার ফলে। এই ফলটি নিয়মিত গ্রহণ করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে পারে এবং এলার্জির কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে।

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা

ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সবারই অজানা। কারণ এই ফল খাওয়ার পর সচরাচর আমরা খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। কারণ এই ফলের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। আপনারা যেভাবে ড্রাগন ফলের খোসা গুলো কাজে লাগাতে পারেন।

ড্রাগন ফলের খোসা ব্যবহারের নিয়ম, দুইটি ড্রাগন ফলের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর খোসা গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তারপর দুই গ্লাস বা দুই মগ পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে,এরপর ফোটানো পানির মধ্যে ড্রাগন ফলের খোসা গুলো দিয়ে ৬-৭ মিনিট ফোটাতে হবে।

এরপর ড্রাগন ফলের খোসাগুলো ফেলে দিয়ে জুস গুলো ভালোভাবে ছেঁকে নিতে হবে। ঠান্ডা হবার পর এটি খেতে হবে এবং এর সঙ্গে আপনারা একটু লবণ ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে টেস্টটা ভালো হবে। কারণ ,এই জুস আপনারা নিয়মিত খেলে আপনাদের খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমে যাবে এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা

আমরা জানি ড্রাগন ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ ।যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু এটি আমাদের রূপচর্চার কাজেও ব্যবহার হয়ে থাকে।কারণ ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। আমরা ড্রাগন ফল দিয়ে যেভাবে রূপচর্চা করতে পারি।

একটি ড্রাগন ফল নিতে হবে, তারপর ড্রাগন ফলটি, চার ভাগে ভাগ করে ,এর এক ভাগ ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে। এর সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালোভাবে মিশিয়ে সমস্ত ত্বকে এপ্লাই করতে হবে। এবং ১৫ মিনিট পর যখন হালকা শুকিয়ে যাবে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনাদের মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ও ত্বক হালকা পিংক ভাব চলে আসবে।

ছাদে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি

ছাদে আমরা যেভাবে ড্রাগন ফলের চাষ করতে পারি।যেভাবে মাটি তৈরি করতে হবে, টবে অথবা যেকোনো পাত্রে আপনারা লাগাতে পারেন, টবে অথবা যে পাত্রে লাগাবেন ,তার দুই ভাগ বেলে ও দোআঁশ মাটি, ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম টিএসপি সার, এক ভাগ গোবর এবং ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম পটাশ সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

এরপর টব অথবা যে পাত্রে লাগাবেন সেই পাত্রে মাটি ভর্তি করে নিন। এরপর পানি দেওয়ার জন্য তিন থেকে পাঁচ সেমি জায়গা খালি রাখবেন। এবং মাটির সঙ্গে যে সকল উপাদান মিশিয়েছেন সেগুলো ভালোভাবে মিশে যাবার জন্য ১১-১২ দিন রেখে দিতে হবে।
এরপর মাটি একটু আলগা করে দিতে হবে। তারপর পুনরায় চার থেকে পাঁচ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে। এরপর মাটি ঝুরঝুরে করে দিয়ে ড্রাগনের কাটিং চারা ৮ থেকে ১০ সেমি গভীরে রোপন করতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি একটু উঁচু করে দিতে হবে গোড়ায় যেন,বেশি পানি না যায়।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url