ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কোনগুলো জেনে নেই

প্রিয় পাঠক, আপনি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ ভিটামিন ডি নিয়ে জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কোনগুলো বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন ,আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কোনগুলো জেনে নিন

পোস্ট সূচীপত্রঃ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কোনগুলো জেনে নিন

ভূমিকা

এই আর্টিকেলেভিটামিন ডি যুক্ত খাবার, ভিটামিন ডি এর অভাব হলে যেগুলো সমস্যা হয়ে থাকে,ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার

আমাদের শরীরে ভিটামিন থাকার কারণে আমাদের পেশি গুলো ভালো থাকে আর মানুষ একমাত্র পেশির ওপর নির্ভর করে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এই পেশিকে ভালো রাখে একমাত্র ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলো । আমাদের মধ্যে অনেকেরই জানা নেই বা জানতে চাই যে কোন কোন খাবারে ভিটামিন ডি থাকে। তাই আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ভিটামিন ডি জাতীয় খাবারগুলো কোনটি এবং ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরে কি কি পরিবর্তন হয় ইত্যাদি আরো অনেক বিষয়ে আলোচনা করব তাই দয়া করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হয়ে থাকে। আর এই ভিটামিন ডি এর ঘাটতির কারণে বাচ্চারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের হাড্ডি অনেক দুর্বল হয়ে যায় হারে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে বাচ্চারা শক্তি দিয়ে দাঁড়াতেও কষ্ট হয়। আর সেজন্যই আমরা চেষ্টা করি যেন কোন খাবার গুলো দিলে বাচ্চার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে। তাই আপনারা নিয়মিত বাচ্চাকে ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কারণ প্রতিটা মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় একটা ভিটামিন হলো ভিটামিন ডি।

আর এই ভিটামিন ডি হাড়ের জোর বাড়াতে এবং ইমিউনিটি কে ভালো রাখে এবং শরীরে আরো বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি না হয়। কেমন আর এখনকার বাচ্চাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব বেশি দেখা যাই। তাই তাদের ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো যেন প্রতিদিন খায় সেদিকে পরিপূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই ভিটামিন ডি এর অভাব থেকে বাচ্চাকে বাঁচাতে পারবেন এছাড়াও রোদ্রের তাপেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।

ভিটামিন ডি এর অভাব হলে যেগুলো সমস্যা হয়ে থাকে

  • যদি দেখেন আপনাদের চুল প্রচুর পরিমাণে ঝরে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় এবং পেশি দুর্বল হয়ে যাই এবং ব্যথা শুরু হয় ও অস্থিসন্ধির বিকৃতি এবং দীর্ঘদিন ধরে পিঠে প্রচুর ব্যথা করে তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার শরীরে নিশ্চয় ভিটামিন ডি এর অভাব হয়েছে।
  • ভিটামিন ডি এর মাত্রা কমে গেলে মানসিক সমস্যা, অতিরিক্ত রাগ বেড়ে যাওয়া, মেজাজ একেক সময় একেক রকম হওয়া এ সকল লক্ষণগুলো দেখা দিবে।
  • যদি আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন এবং ঠিকমতো বিশ্রাম নিন তারপরেও যদি আপনাদের শরীরে দুর্বলতা ভাব হয়, শরীর ক্লান্ত লাগে সবকিছুতে অলস ভাব হয় তাহলে অবশ্যই বুঝতে হবে,যে ভিটামিন ডি এর জন্য আপনার শরীরে এ সকল সমস্যাগুলো হচ্ছে।
  • যদি দেখেন আপনার হঠাৎ করে ওজন বেড়ে যাচ্ছে ,আবার হঠাৎ করে ওজন কমে যাচ্ছে, ঠিকমতো খাওয়া দাওয়ার পরেও এ সকল লক্ষণ গুলো দেখা দিচ্ছে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়েছে।
  • আপনাদের শরীরে যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং যে কোন ঘা শুকাতে অনেক সময় লাগে তাহলে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়েছে।
  • যদি আপনারা এ লক্ষণগুলো দেখেন যে আপনার বয়সের আগে দাঁত পড়ে যাচ্ছে আবার থাইরয়েড সমস্যা এবং মেরুদন্ডে অতিরিক্ত ব্যথা তাহলে অবশ্যই আপনার শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হয়েছে।
  • ভিটামিন ডি এর অভাবে আপনার পায়ের হাড় বেঁকে ধনুকের মতো হয়ে যেতে পারে। এবং বাত থাকার কারণে বাতের অতিরিক্ত ব্যথা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এটি ভিটামিন ডি এর জন্যই হয়ে থাকে।
  • শরীরের যেকোনো হাড় অল্প বয়সে ক্ষয় হয়ে যাওয়া, বাচ্চাদের রিকেট রোগ এবং অস্টিওমিলেশিয়া এগুলোর বড় কারণ হলো ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার

মাছ খাওয়াঃ আমাদের আশেপাশে পরিচিত যে সকল মাছগুলো রয়েছে সে সকল মাছগুলোতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি। আর তাই ছোট থেকে বড় সবাইকেই খাবারের সঙ্গে মাছ নিয়মিত রাখলে হাড় শক্তিশালী হবে এবং হারে জোড় বৃদ্ধি হবে। আর শুধু তাই নয় মাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি কমাতে মাছের জুরি মেলা ভার। তাই আপনারা প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে যে কোন এক রকমের মাছ রাখবেন অবশ্যই।

ডিমের কুসুমঃ আমাদের বাড়িতে সবারই সচরাচর কমবেশি ডিম থাকে। আমাদের অনেকেরই ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা থাকে না। ডিম একাধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর। যদি প্রতিদিন বাচ্চাকে ডিমের কুসুম দিতে পারেন তাহলে তাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতে হবে না, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি মিটে যাবে। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে একটি ডিমের কুসুমে প্রায় ৩৭ আই ইউ ভিটামিন রয়েছে। আর তাই বাচ্চাদের সুস্থ রাখার জন্য এবং ভিটামিন এর অভাব দূর করার জন্য প্রতিদিন ডিমের কুসুম খাওয়ান।

গরু এবং ছাগলের দুধঃ এমন কোন ভিটামিন নেই যে গরুর দুধে নেই গরুর দুধের পাশাপাশি ছাগলের দুধেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন প্রোটিন ইত্যাদি আরো বিভিন্ন উপাদান রয়েছে। ছাগলের দুধকে মায়ের দুধের মত ভিটামিন বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। জন্মের পরে যদি কোন বাচ্চা দুধ না পাই তাহলে ছাগলের দুধ খাওয়ানো যাবে। প্রতিদিন কেউ যদি এক গ্লাস দুধ খেতে পারে তাহলে তার সারাদিনে যতটুক ভিটামিন প্রয়োজন তা এই এক গ্লাস দুধ থেকেই পাবে। তাই অবশ্যই ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে বাচ্চা এবং বড় সবাইকে দুধ খাওয়া।

মাশরুমঃ আমাদের আশেপাশে প্রায় অনেক মানুষ এই মাশরুম সম্পর্কে অজানা। মাশরুমেও রয়েছে ভিটামিন ডি তাই আপনার আমি ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে মাশরুম খেতে পারেন। আপনারা হয়তো জানেন না যে এক কাপ মাশরুমে রয়েছে ১৩৬ আই ইউ ভিটামিন ডি। তাই ছোট এবং বৃদ্ধদের আপনারা নিয়মিত মাশরুম খাওয়ান এতে হাড় মজবুত হবে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ হবে।
সোয়াবিনের দুধঃ এই সোয়াবিন দুধের মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। আপনার বাচ্চাদের প্রতিদিন এই সোয়াবিনের দুধ খাওয়াতে পারলে ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের অভাবও পূরণ হবে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে সহজে মুক্তি পাবে।

রোদের তাপঃ যদি কোন বাচ্চার ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তাহলে সকাল থেকে এগারোটা পর্যন্ত রুদ্রের তাপ গ্রহণ করান। কারণ রৌদ্রের তাপে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি। তাই যারা বাসার মধ্যে সব সময় আবদ্ধ থাকে গায়ে রোদ পড়ে না তাদের ভিটামিন ডি এর অভাব বেশি দেখা দেয়।কারণ প্রতিটা মানুষের রোদ থেকে ভিটামিন ডি গ্রহণ করা প্রয়োজন। আবার আপনারা রোদ্রে পানি রেখে গরম করে সেই গরম পানি দিয়ে বাচ্চাদের অথবা নিজেরা গোসল করতে পারেন এতেও ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।

দইঃ আপনাদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে দই খেতে পারেন। দই এ রয়েছে ভিটামিনডি। আর যাদের পেটের সমস্যা হজম কম হয় তারা নিয়মিত দই খেতে পারেন। আপনারা টক দই খাওয়ার চেষ্টা করবেন এতে সুগার থাকে না উপকার বেশি হয়।

মাখন বা বাটারঃ মাখন একটি ভিটামিন ডি এর উৎস।মাখন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি। যা আপনার আছে ছোট থেকে বড় সবাইকেই নিয়মিত খাওয়াতে পারবেন। কারণ মাখনের ভিটামিন ডি থাকার পাশাপাশি আরো অনেক ভিটামিন এবং প্রোটিন এর মধ্যে বিদ্যামান রয়েছে। তাই আপনারা প্রতিদিনের খাবারে মাখন বা বাটার রাখার চেষ্টা অবশ্যই করবেন। বড়রা যদি নিয়মিত খেতে নাও পারে তাও ছোটদের দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

শেষ কথা

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url