মাখন এর উপকারিতা - মুখে মাখন মাখলে কি হয়

 


প্রিয় পাঠক, আপনি মাখন এর উপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ মাখন এর উপকারিতা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি মাখন এর উপকারিতা ও মুখে মাখন মাখলে কি হয় বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু মাখন এর উপকারিতা এবং মুখে মাখন মাখলে কি হয় সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মাখন এর উপকারিতা - মুখে মাখন মাখলে কি হয়

ভূমিকা

এই আর্টিকেলটির মধ্যে আমরা মাখন এর উপকারিতা, মুখে মাখন মাখলে কি হয় ,মাখন কি দিয়ে খায় মাখন খেলে কি মোটা হয় না চিকন হয় সে সকল বিষয়ে জানতে বিভিন্ন পয়েন্ট তুলে ধরেছি ,যা আপনারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণরূপে পড়লে জানতে পারবেন যে, মাখন দিয়ে কি কি করা যায় ।এবং আরো বিস্তারিত অনেক কিছু আলোচনা রয়েছে মনোযোগ সহকারে পরলে জানতে পারবেন। তাই দয়া করে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

মাখন এর উপকারিতা

মাখনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ, ভিটামিন ডি ,ভিটামিন ই ভিটামিন এ, যা আমাদের শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণ করতে অনেক সাহায্য করে। কে2 ভিটামিন প্রোস্টেট হাড়ভাঙ্গা এবং হার্ড ডিজিজের ঝুঁকি অনায়াসে কমিয়ে দেয়। মাখন খেলে ত্বক অনেক কোমল ও নরম এবং সুন্দর হয়ে থাকে।
মাখনে লিনোলেইক অ্যাসিড নামক যৌগ পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। মাখন আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে ।কারণ মাখন খেলে আস্তে আস্তে রুচি নষ্ট হয়ে যায়। যা আমাদের ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করে। তাই ডায়েট করতে হলে মাখন এর কোন জুড়ি নেই।

মুখে মাখন মাখলে কি হয়

আমরা খুব সহজে বাড়িতেই অনায়াসে মাখন বানিয়ে নিতে পারি কারণ, বাইরের মাখন এর চেয়ে ঘরের মাখন বেশি ভালো হয়।কারণ বাইরের মাখন এর মধ্যে ভেজাল মেশানো থাকে।তাই মুখে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি করা মাখন ব্যবহার করাই ভালো। যা আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হবে না।

আমরা ত্বকে যেভাবে মাখন ব্যবহার করতে পারি, ত্বকে ব্যবহার করার জন্য ঘরে তৈরি মাখন অবশ্যই নিতে হবে। ঘরে তৈরি করা মাখনে, যে চর্বি থাকে ত্বককে হাইড্রেট করে। এবং তার পাশাপাশি ত্বককে গভীর থেকে মশ্চারাইজার করে থাকে।

মাখন ব্যবহারের নিয়ম, এক চামচ মাখন, হাফ চামচ মধু, এক চামচ এলোভেরা জেল এবং হাফ চামচ চালের গুড়ি একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে, ত্বকে ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে, তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট ত্বকে শুকিয়ে নিতে হবে ।এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে ত্বকে মাখন ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকে কোন মশ্চারাইজার ব্যবহার করা লাগবে না।

মাখন কি দিয়ে খায়

মাখন আমরা বিভিন্নভাবে খেতে পারি, ওজন কমানোর জন্য আমরা যেভাবে মাখন খেয়ে থাকি। দুই চামচ মাখন দিয়ে একটি ডিম ভেজে নিতে হবে এবং এক চামচ মাখন দিয়ে ১০০ গ্রাম বাদাম ভেজে নিতে হবে এবং ডায়েটের জন্য যে কোন সবজি বা ভাজি মাখন দিয়ে করলে।বেশি ভালো হয় কারণ মাখনে যে চর্বি থাকে সে চর্বি আমাদের শরীরের চর্বি কাটতে সাহায্য করে।
আমরা সকালের নাস্তায় পাউরুটি দিয়ে মাখন খেতে পারি যা আমাদের খেতেও ভালো লাগে এবং শরীরের জন্য ও অনেক উপকারী হয়ে থাকে। আমরা আরও বিভিন্ন রেসিপি তৈরিতে এই মাখন ব্যবহার করতে পারি।রান্নার সাদ বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে, আমরা আরো অনেক উপায়ে মাখন খেতে পারি। যেমন, ব্ল্যাক কফির সঙ্গে দুই চামচ মাখন মিশিয়ে খেলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকার ও চর্বি কমাতে সাহায্য করে।

মাখন খেলে কি মোটা হয়

আমাদের ডায়েটেশিয়ানরা বলে, দুই চামচ মাখনের প্রায় 200 ক্যালোরি রয়েছে। আর এই ক্যালরি গুলো চর্বি আকারে থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী, মাখন খেলে হৃদ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং মাখন খেলে আমাদের শরীরের দুর্বলতা কেটে যায়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

সবার ধারণা মাখন চর্বি জাতীয় খাবার,তাই মাখন খেলে মনে হয় মানুষ মোটা হয়ে যায়। কিন্তু আসলে মাখনে যে চর্বি রয়েছে, সেই চর্বি আমাদের শরীরে গিয়ে আমাদের শরীরের মধ্যে যে চর্বি রয়েছে সেই চর্বি কে গলিয়ে দিতে সাহায্য করে। তাই মাখন খেলে মানুষ মোটা হয় না।বরং আরো স্লিম হয়, কারণ আমাদের ডায়েটের করার জন্য সর্বপ্রথমে মাখন এর কথা বলা হয়ে থাকে। তাই মাখন খেলে মোটা হয় না।

বাচ্চাদের মাখন খাওয়ার নিয়ম

বাচ্চাদের নিয়মিত মাখন খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ মাখন দুধ থেকে তৈরি হয়, দুধে যে মন পুষ্টিগুণ রয়েছে, মাখনে ও তেমনি অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।তাই বাচ্চাদের জন্য মাখন খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।কারণ এখনকার বাচ্চাদের অনেক চোখের সমস্যা দেখা দেয় নিয়মিত মাখন খেলে চোখের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

কিন্তু পরিমাপ মত নিয়ম অনুযায়ী বাচ্চাদের মাখন খাওয়াতে হবে।বাচ্চারা সচরাচর কোন খাবার খেতে চায় না।আপনারা যে কোন নাস্তা বানিয়ে দিলে তা তারা অনায়াসে খেয়ে নেয়। তাই নাস্তা বানানোর জন্য যে তেল ব্যবহার করেন তার বদলে দুই চামচ মাখন দিয়ে নাস্তা বানিয়ে দিন।

অথবা দুইটা পাউরুটির স্লাইস নিয়ে তার সঙ্গে দুই চামচ বাটার দিয়ে ভেজে দিলে তারা ভালোভাবে খেয়ে নিবে,এবং তাদের রুচিসম্মত খাবার হবে। এবং এটি তাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে।কিন্তু বাচ্চাদের দুই চামচের বেশি মাখন দেওয়া উচিত নয়, দিনে দুই চামচ করে মাখন দেওয়াই ভালো। আর যাদের বয়স বেশি তাদের পরিমাপ একটু বেশি হবে।

মাখন এর অপকারিতা

মাখনে যে রম অনেক পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে, তেমনি অপকারিতা রয়েছে। মাখনের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন, কোন কিছু বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়, বেশি পরিমাণ মাখন খেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, যেমন, প্রেসার বেড়ে যেতে পারে, ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মাখন খাওয়া উচিত নয়।
অতিরিক্ত মাখন খাওয়ার ফলে প্রেসার বেড়ে যেতে পারে ও স্টক করার ভয় থাকে। এবং যারা সুস্থ রয়েছেন তারাও পরিমাণ মতো মাখন খাবেন। পরিমাণ মত মাখন না খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হবে।তাই যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়াই ভালো তাহলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়ে থাকে।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।মাখন এর উপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url