মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় - মুলতানি মাটির উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আপনি মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও মুলতানি মাটির উপকারিতা বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় ও মুলতানি মাটির উপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

এই আর্টিকেলে মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, মুলতানি মাটির উপকারিতা,মুলতানি মাটি দিয়ে ব্রণ দূর করার নিয়ম, মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহারের নিয়ম,মুলতানি মাটি ও লেবুর রস,মুলতানি মাটির উপকারিতা ,মুলতানি মাটির অপকারিতা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

ব্রণ হয় না এমন মানুষ প্রায় কম দেখা যায় কিন্তু ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মুখে ব্রণ বেশি হয়। কারণ মেয়েদের ত্বক সেনসিটিভ হয়ে থাকে। ব্রণ হবার একমাত্র কারণ হলো, মুখে অতিরিক্ত তেল বের হওয়া মুখে অতিরিক্ত তেল বের হলে ব্রণ বেশি বের হয়ে থাকে। কিভাবে ত্বকের তেল রিমুভ করা যায় তা বুঝতে পারিনা। তাই খুব সহজে মুলতানি মাটি ব্যবহার করে আমরা ব্রণ দূর করতে পারি।

যেভাবে মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বকের ব্রণ তাড়াতাড়ি ভালো হবে।এবং মুখে ব্রণ এর সমস্যা আর থাকবে না। এক চামচ মুলতানি মাটি,হাফ চামচ কমলার খোসা, হাফ চামচ হলুদ গুঁড়া বা কাঁচা হলুদ নিলেও হবে,এবং হাফ চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে।

এরপর পরিষ্কার করে মুখ ধুয়ে, পেস্ট টি সমস্ত মুখে ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে ত্বকে লাগানোর বিশ মিনিট পর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে আস্তে আস্তে মাসাজ করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে মুখের তেল বের হওয়া কমে যাবে।এবং মুখে আর ব্রণ বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। তাই নিয়মিত প্যাক টি ব্যবহার করুন।

প্রতিটা মেয়েদেরই ত্বক সুন্দর করা এবং ত্বক ফর্সা করার অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষের গায়ের রং যত বেশি ফর্সা হবে তাকে তত সুন্দরী বলা হয়। তাই সব মানুষেরই চাহিদা থাকে তার ত্বক ফর্সা করার। আমরা মুলতানি মাটি দিয়ে খুব সহজে ত্বক ফর্সা করতে পারে। মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হবার উপায় জেনে নিন।

আমরা মুলতানি মাটি দিয়ে যেভাবে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক ফর্সা হবে।প্যাকটি বানানোর জন্য যে সকল উপকরণ লাগবে। এক চামচ মুলতানি মাটি, হাফ চামচ লেবুর রস, ২ চামচ গোলাপ জল, এবং হাফ চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।এরপর ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে মুছে নিতে হবে।

এরপর প্যাক টি সমস্ত মুখে ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে, 15 থেকে 20 মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাতটা একটু ভিজিয়ে আস্তে আস্তে মাসাজ করে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে চারদিন ব্যবহার করলে আপনাদের ত্বক আস্তে আস্তে ফর্সা হয়ে যাবে। এভাবে আপনারা সমস্ত শরীরে এই প্যাকটি ব্যবহার করে ফর্সা হতে পারে। ভালো ফলাফল পেতে এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।

মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহারের অনেক নিয়ম রয়েছে। অনেকের জানা আছে আবার অনেকের জানা নেই। মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের জন্য অনেক উপকার হয়ে থাকে। ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে মুলতানি মাটির কোন জবাব নেই। মুলতানি মাটি দিয়ে আমরা বিভিন্নভাবে প্যাক তৈরি করে মুখে এপ্লাই করতে পারি। মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহার করার নিয়ম জেনে নিন।

মুলতানি মাটিতে অনেক প্রাকৃতিক খনিজ ভরপুর রয়েছে। ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম সিলিকেট, ক্লোরাইড সমৃদ্ধ এই মাটির মধ্যে রয়েছে স্বাভাবিক ক্ষমতা। যা আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের ধুলো ময়লা গভীর থেকে অনায়াসে বের করতে সাহায্য করে।মুখে অতিরিক্ত তেলর কারণে যাদের ত্বক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।তারা এই মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে থাকলে,আস্তে আস্তে ত্বকের তেল শোষণ করে নেবে।

আমরা বাড়িতে যেভাবে মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক বানিয়ে থাকি, দের চামচ মুলতানি মাটি, হাফ চামচ কফি পাউডার, চার চামচ গরুর দুধ বা ছাগলের দুধ হলে বেশি ভালো। এরপর সবগুলো একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে এপ্লাই করতে হবে ।ত্বক শুকিয়ে এলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। সপ্তাহে তিন চার দিন এই প্যাকটি বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

লেবু আর মুলতানি মাটি ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন, আমাদের মাথায় অনেক সময় খুশকি দেখা দেয় কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না এ খুব শি কিভাবে দূর করতে পারে আমরা বাইরের অনেক শ্যাম্পু অথবা সাবান দিয়ে অথবা তেল দিয়ে এটা রিমুভ করার চেষ্টা করি কিন্তু এটা কিছুতেই রিমুভ হয় না।লেবু আর মুলতানি মাটি দিয়ে আমরা খুব সহজে এই খুশকি দূর করতে পারি।

৭-৮ চামচ মুলতানি মাটি এবং অর্ধেক লেবুর রস একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।এটা একটু শক্ত হলে, এর সাথে সামান্য পানি মেশাতে পারেন। এরপর সমস্ত মাথায় এপ্লাই করে আধা ঘন্টার জন্য চুলে লাগিয়ে রাখুন আধাঘন্টা পর ভালোভাবে চুল ধুয়ে নিন। এটি ব্যবহারে চুলের ময়লা ভেতর থেকে বের হয়ে যায় খুশকি দূর হয়ে যায়।কিন্তু এটা নিয়মিত ব্যবহার করলেই আপনারা ভালো ফলাফল পাবেন।

মুলতানি মাটিতে রয়েছে প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান যা আমাদের ত্বকের জন্য এবং চুলের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। ত্বক ফর্সা করতে, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে, ত্বকের তেল শোষণ করতে ইত্যাদি আরো অনেক উপকার হয়ে থাকে এই মুলতানি মাটি থেকে। এই মুলতানি মাটি নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্রণ বের হওয়া তা কমে যায়।

মুলতানি মাটি দিয়ে আমরা চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করতে পারি, এবং চুলে খুশকি থাকলে তা মুলতানি মাটি দিয়ে আমরা অনায়াসে কমিয়ে ফেলতে পারি।তাই মুলতানি মাটির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এটি যারা নিয়মিত ব্যবহার করবেন তারাই বুঝতে পারবেন, মুলতানি মাটির গুনাগুন ও উপকারিতা তাই আপনারা নিয়মিত এই মুলতানি মাটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

মুলতানি মাটির যেরকম উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতাও রয়েছে, যাদের ত্বকে চুলকানি ও এলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের মুলতানি মাটি ব্যবহার করার আগে, হাতে অথবা অন্য জায়গায় একটু ব্যবহার করে, দেখবেন যদি চুলকায় অথবা জ্বালাপোড়া করে তাহলে এটি আপনাদের ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ,মুলতানি মাটিতে অনেকের এলার্জি থাকতে পারে।

এটি ব্যবহারের ফলে এলার্জি হলে, শরীরে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন,শ্বাসকষ্ট ,মাথাব্যথা ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই তখন উপকারের বদলে ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই আপনারা এই মাটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সতর্ক হয়েই ব্যবহার করবেন।না হলে এটা আপনাদের উপকারিতার চেয়ে অপকারিতায় বেশি হবে।

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।