আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন

 

প্রিয় পাঠক, আপনি আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা  জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এবং কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন ।

পোস্ট সূচীপত্রঃ আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা,আমলকিতে কোন এসিড থাকে,আমলকির ক্ষতিকর দিক , প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে অনেক আয়ুর্বেদরা আমলকিকে আমাদের প্রকৃতির এক অন্যতম আশীর্বাদ বলে মনে করে থাকেন। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, তাই আমলকি কে ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস বলে মনে করে থাকেন। আমলকিতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ যা আমাদের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। আমলকি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম,আয়রন পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, ম্যাগনেসিয়াম,ফাইবার ইত্যাদি যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দেয়। আমলকি খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যাদের প্রচুর পরিমাণে গ্যাসের সমস্যা হয় । তারা নিয়মিত আমলকি খেলে তাদের হজম শক্তি বাড়বে এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে অনায়াসে মুক্তি পেয়ে যাবে।
যাদের বমি বমি ভাব হয়, কিন্তু কোন ওষুধ খেয়েও ভালো হচ্ছে না,তারা নিয়মিত আমলকি খেতে পারেন নিয়মিত আমলকি খেলে আস্তে আস্তে বমি বমি ভাব কমে যাবে । আমলকি ফুসফুসের জন্য অনেক উপকারী, ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, তারা নিয়মিত আমলকি খেতে পারে, নিয়মিত আমলকি খাওয়ায় সুগার আস্তে আস্তে কমে যাবে।

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা

আমলকি চুলের জন্য একটি উপকারী উপাদান। আমলকি ব্যবহারে আমাদের শরীর যেমন ভালো থাকে,তেমনি আমলকি ব্যবহারে চুল অনেক ভালো থাকে। যেমন, যাদের প্রচুর পরিমাণে চুল উঠে তারা নিয়মিত আমলকি ব্যবহার করলে চুল ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।কারণ আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। আর যাদের বয়সের আগে চুল পেকে যায়।

তারা নিয়মিত আমলকি ব্যবহার করলে চুল পাকা বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি ও এন্টি অক্সাইড যা চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে। চুলে আমলকি ব্যবহারের নিয়ম জেনে নিন। চুলে আমরা বিভিন্নভাবে আমলকি ব্যবহার করতে পারি।যেমন, কাঁচা আমলকির রস, আমলকির গুড়া, আমলকির তেল ইত্যাদি আমরা যেভাবে চুলে ব্যবহার করি তা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে।

আমলকির একটি প্যাক তৈরির পদ্ধতি, কাঁচা আমলকির বিচি বের করে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে ।এভাবে আমলকি শুকিয়ে রাখলে অনেকদিন ব্যবহার করা যায় ।শুকানো আমলকি দিয়ে যেভাবে প্যাক তৈরি করবেন ,রাতে ঘুমাতে যাবার আগে শুকনো আনলো কি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন,এবং সকালে উঠে ভিজানো আমলকি এবং পানি সহ ভালোভাবে ব্লেন্ডার করে নিন।

এর সঙ্গে আপনারা মেথি এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করলে আপনাদের চুল ওঠা বন্ধ করবে।এবং চুল কালো করবে এবং চুল অনেক সিল্কি হবে, তাই ভালো ফলাফল পেতে নিয়মিত এই আমলকি ব্যবহার করুন। আমলকি তেল বানিয়ে ও মাথায় ব্যবহার করতে পারেন এতেও অনেক উপকারিতা লাভ করবে।

আমলকিতে কোন এসিড থাকে

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি বা এস্করবিক এসিড। যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যে নিয়মিত আমলকি খেতে পারবে তার কোন ওষুধ না খেলেও তার শরীর ভালো থাকবে। কারণ আমলকির যে এসিড রয়েছে তা আমাদের শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তাই আমাদের সকলের নিয়মিত আমলকি খাওয়া উচিত ছোট থেকে বড় সবারই এই আমলকি খাওয়াই অনেক উপকারিতা রয়েছে।যেমন অনেক বাচ্চাদের ব্রেন কম থাকে তাদের নিয়মিত আমলকি খাওয়ালে আস্তে আস্তে ব্রেন বৃদ্ধি হতে সাহায্য করবে। তাই আমরা চেষ্টা করব নিয়মিত খাবার তালিকায় আমলকি রাখার, ফল হিসেবে অথবা জুস হিসেবে তাছাড়া আপনাদের রুচি অনুযায়ী খেতে পারে।

আমলকির ক্ষতিকর দিক

আমরা জানি আমলকি খেলে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়। কিন্তু এর ক্ষতিকর দিক রয়েছে, অনেকেই আমলকি খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেনা। কেউ যদি আমলকি আর আদা একসঙ্গে খেয়ে ফেলে তাহলে তাদের লিভারে অনেক খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত আমলকি খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের রক্তে চিনির পরিমাণ কম রয়েছে তারা যদি অতিরিক্ত আমলকি খেয়ে ফেলে তাহলে সুগার ফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যে কোন জিনিস পরিমাণ মতো খেতে হবে। তাহলে তার শরীরে কোন ক্ষতি হবে না। এবং আমলকিতে প্রচুর এসিড থাকার কারণে, অতিরিক্ত আমলকি খেয়ে ফেললে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কারণ আমলকি কষ জাতীয় খাবার যা আমাদের শরীর কে কড়া করে দেয়।এর ফলে হাত-পা জ্বালাপোড়া, প্রসাবে জ্বালাপোড়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আমলকিতে যে রকম আমাদের উপকারিতা রয়েছে ও ক্ষতির দিক রয়েছে ।সব জিনিসের ভালো খারাপ দুই দিকে থাকে।

প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত

আমলকির ভালো গুনাগুন পেতে এর সঠিক ব্যবহার দরকার সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে। অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাই দিনে কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত কতটুক পরিমানে আমলকি পাউডার খাওয়া যাবে ইত্যাদি জানবো।আমাদের নিয়মিত কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত তা আমরা বিস্তারিত ভাবে জানবো।

সারাদিনে আমরা দুই থেকে তিন পিস কাঁচা আমলকি খেতে পারি।আপনারা এটা ফল হিসেবে খেতে পারেন অথবা এর জুস করে এর সঙ্গে এক চামচ মধু এবং এক চিনতে লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। আমলকির জুস করে খেলে যে সকল উপকার হয়, হাতে-পায়ের জ্বালাপোড়া, চোখ জ্বালাপোড়া, পেটের জ্বালাপোড়া ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার দুই ঘন্টা পর অথবা সাড়ে এগারোটা বারোটার দিকে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সঙ্গে আমলকির গুড়া মিশিয়ে এর সঙ্গে এক চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে পান করতে পারেন। এভাবে পান করলেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।তাই আপনারা প্রতিদিন যে কোন উপায়ে আমলকি খাবেন এতে আপনাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

মন্তব্য

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url