দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ - দোয়া কুনুত মুখস্ত করার সহজ পদ্ধতি
পোস্ট সূচীপত্রঃ দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ - দোয়া কুনুত মুখস্ত করার সহজ পদ্ধতি
ভূমিকা
এই আর্টিকেলে দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ, দোয়া কুনুত মুখস্ত করার সহজ পদ্ধতি,দোয়া কুনুত বাংলা অর্থসহ, বেতের নামাজ কয় রাকাত ,বিতর নামাজের ফজিলত ,৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত, বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি প্রতিটা পয়েন্ট বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি অনায়াসে আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।দোয়া কুনুত বাংলা উচ্চারণ
দোয়া কুনুত হলো আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে সকল কিছু চাওয়ার মাধ্যমে। আপনি দুনিয়া এবং আখিরাতের জন্য যা কিছু চাইবেন সকল এই দোয়া কুনুতের মধ্যেই রয়েছে।দোয়া কুনুতঃ-
للَّهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ -
বাংলা উচ্চারণঃ-
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনি 'আলাইকাল খইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ক।
দো'য়া কুনুতঃ-
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনি 'আলাইকাল খইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ক।
দো'য়া কুনুতঃ-
اللھم اهدني فيمن هديت وعافني فيمن عافيت وتولني فيمن توليت وبارك لي فيما أعطيت وقني شر ما قضيت إنك تقضي ولا يقضى عليك وإنه لا يذل من واليت ولا يعز من عاديت تباركت ربنا وتعاليت
বাংলা উচ্চারণঃ-
আল্লাহুম্মাহ দিনী ফীমান হাদাইত, ওয়া’আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত, ওয়া বা-রিক লী ফীমা আ’তাইত, ওয়াক্বিনী শাররামা ক্বাদাইত, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্দা ‘আলাইকা, ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইত, ওয়ালা ইয়াইয্যু মান ‘আ-দাইত, তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা'আলাইত।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনি 'আলাইকাল খইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ক।
বাংলা অর্থঃ-
আল্লাহুম্মাহ দিনী ফীমান হাদাইত, ওয়া’আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত, ওয়া বা-রিক লী ফীমা আ’তাইত, ওয়াক্বিনী শাররামা ক্বাদাইত, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্দা ‘আলাইকা, ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইত, ওয়ালা ইয়াইয্যু মান ‘আ-দাইত, তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা'আলাইত।
দোয়া কুনুত বাংলা অর্থসহ
বাংলা উচ্চারণঃ-আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগফিরুকা, ওয়া নু'মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা, ওয়া নুছনি 'আলাইকাল খইর, ওয়া নাশকুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, ওয়া নাতরুকু মাই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ক।
বাংলা অর্থঃ-
হে আল্লাহ আমরা তোমারই সাহায্য চাই, তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল কিছু তোমার দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি অকৃতজ্ঞ হই না, এবং যারা তোমার অবাধ্য হয় তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদেরকে পরিত্যাগ করি। হে আল্লাহ আমরা তোমারই দাসত্ব করি তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি, আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।
বাংলা উচ্চারণঃ-
আল্লাহুম্মাহ দিনী ফীমান হাদাইত, ওয়া’আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইত, ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইত, ওয়া বা-রিক লী ফীমা আ’তাইত, ওয়াক্বিনী শাররামা ক্বাদাইত, ইন্নাকা তাক্বদী ওয়ালা ইউক্দা ‘আলাইকা, ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মান ওয়ালাইত, ওয়ালা ইয়াইয্যু মান ‘আ-দাইত, তাবা-রাকতা রব্বানা ওয়া তা'আলাইত।
বাংলা অর্থঃ-
হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হেদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চূড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না। আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের পালনকর্তা ! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান।
দোয়া কুনুত মুখস্ত করার সহজ পদ্ধতি
আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ আছে যাদের দোয়া কুনুর মুখস্ত করা হয়নি। আবার অনেকে মুখস্ত করার চেষ্টাও করেনি, আবার অনেকে জানেও না যে দোয়া কুনুত কখন পড়তে হয়, কোন নামাজে পড়তে হয়। এমন অনেক মানুষ আছে যে তারা জানার পর দোয়া কুনুত মুখস্ত করতে চায় কিন্তু তারা ভয় পায় যে এত বড় দোয়া আমরা কিভাবে মুখস্ত করব। আরো পড়ুনঃ গোসলের ফরজ কয়টি ও কি কি ভালোভাবে জেনে নিন
আবার অনেক ছোট বাচ্চারা এবং বয়স্ক মানুষ ও এই দোয়াটি মুখস্ত করতে চাই , বড় বলে ভয় পাওয়ার কারণে তারা মুখস্ত করতে চায়না। তাই আজ আমি আপনাদের সুবিধার্থে দোয়া কুনুত কিভাবে সহজ ভাবে মুখস্ত করতে পারবে সেই বিষয়ে সুন্দরভাবে বলে দেয়ার চেষ্টা করব।
প্রথমে আপনারা একটি খাতা এবং একটি পেন বা কলম নিয়ে নিবেন ।তারপর দোয়া কুনুতের বাংলা উচ্চারণ খাতায় সুন্দরভাবে লিখবেন। খাতায় লিখার পর আপনি প্রতিদিন ছয়টি করে বাক্য মুখস্থ করবেন। এমন ভাবে মুখস্ত করবেন যেন আপনি সেই ছয়টি বাক্য আর না ভুলেন। তারপর আবার ছয়টি বাক্য মুখস্ত করবেন ,এভাবে আপনারা মুখস্ত করলে খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়ে যাবে।
প্রথমে আপনারা একটি খাতা এবং একটি পেন বা কলম নিয়ে নিবেন ।তারপর দোয়া কুনুতের বাংলা উচ্চারণ খাতায় সুন্দরভাবে লিখবেন। খাতায় লিখার পর আপনি প্রতিদিন ছয়টি করে বাক্য মুখস্থ করবেন। এমন ভাবে মুখস্ত করবেন যেন আপনি সেই ছয়টি বাক্য আর না ভুলেন। তারপর আবার ছয়টি বাক্য মুখস্ত করবেন ,এভাবে আপনারা মুখস্ত করলে খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়ে যাবে।
তাহলে আপনাদের দোয়ায়ে কুনুত এত বড় বলে মুখস্ত করতে ভয় লাগবে না। এভাবে আপনি মুখস্ত করলে দেখবেন আপনার খুব সহজেই দোয়ায়ে কুনুত মুখস্ত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও আপনারা আরেকটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন, আপনি দোয়া কুনুত মোবাইলে ডাউনলোড করে নিয়ে অল্প অল্প করে শুনবেন এবং অল্প অল্প করে মুখস্ত করবেন তাহলেও মুখস্ত ভালো হয়।
আরো পড়ুনঃ তাবলীগের ছয় নাম্বার সহজ ভাবে জেনে নিন
আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন যেন আল্লাহ আপনাকে দোয়ায়ে কুনুত মুখস্ত করার জন্য জ্ঞান দান করেন ।আল্লাহ তাআলা চাইলে এবং আপনার চেষ্টা থাকলে একদিনেই এই দোয়া কুনুত মুখস্থ হয়ে যাবে। আপনি আল্লাহর ভয়ে দোয়ায়ে কুনুত মুখস্ত করছেন, আল্লাহ তো আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন ইনশাল্লাহ।আমি আপনাদের বোঝার ক্ষেত্রে ওপরে সুন্দর ভাবে দোয়া কুনুতে অর্থ দোয়া কুনুকের বাংলা উচ্চারণ দোয়া কুনুত এর আরবি সব সুন্দরভাবে লিখে দিয়েছি আপনারা সেখান থেকেও লিখে নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ তাবলীগের ছয় নাম্বার সহজ ভাবে জেনে নিন
আর আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবেন যেন আল্লাহ আপনাকে দোয়ায়ে কুনুত মুখস্ত করার জন্য জ্ঞান দান করেন ।আল্লাহ তাআলা চাইলে এবং আপনার চেষ্টা থাকলে একদিনেই এই দোয়া কুনুত মুখস্থ হয়ে যাবে। আপনি আল্লাহর ভয়ে দোয়ায়ে কুনুত মুখস্ত করছেন, আল্লাহ তো আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন ইনশাল্লাহ।আমি আপনাদের বোঝার ক্ষেত্রে ওপরে সুন্দর ভাবে দোয়া কুনুতে অর্থ দোয়া কুনুকের বাংলা উচ্চারণ দোয়া কুনুত এর আরবি সব সুন্দরভাবে লিখে দিয়েছি আপনারা সেখান থেকেও লিখে নিতে পারেন।
বেতের নামাজ কয় রাকাত
বেতেরের নামাজ কয় রাকাত তা অনেক মানুষ জানার জন্য খোঁজাখুঁজি করেন ।বেতের সালাত মানুষ বেশির ভাগ ৩ রাকাতই পড়ে থাকে। বেতের নামাজ বিজর হয়, আর আল্লাহতালা বিজর সংখ্যাকে পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বেতের নামাজ ৩ রাকাত পড়তেন। আবার অনেকে বলেন রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ১ রাকাত ও বেতের নামাজ পড়তেন। সবচেয়ে উত্তম হলো ৩ রাকাত বেতের নামাজ আদায় করা।বিতর নামাজ পড়ার নিয়ম
প্রথমে নিয়ত করে তাকবীর বলে হাত বাঁধতে হবে, এরপর ছানা আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ তারপর সূরায়ে ফাতেহা এবং এর সঙ্গে একটি সুরা মিলিয়ে পড়তে হবে। রুকু সেজদা দিয়ে প্রথম রাকাত শেষ করার পর, আবার দ্বিতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। তারপর রুকু সেজদা শেষ করে বসে তাশাহুদ পড়তে হবে।তাশাহুদ পড়া শেষে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতে আবার ফাতেহা সূরার সঙ্গে একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। সূরা মিলিয়ে পড়ার পরে, তাকবির বলে হাত বাধতে হবে, এরপর দোয়ায়ে কুনুত পড়তে হবে তারপর রুকু সেজদা করে , শেষ বৈঠকে তাশাহুদ ,দুরুদ শরীফ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে। এভাবেই বিতর নামাজ শেষ করতে হবে।
৩ রাকাত বিতর নামাজ পড়ার নিয়ত
আরবিতে নিয়তঃ-
نويت أن أتوجه إلى القبلة لأداء صلاة الفريضة ثلاث ركعات الله أكبر.
আরবিটির বাংলা উচ্চারণঃ- নাওাইতুয়ান উসাল্লিয়া লিল্লাহি তা’ লা সালাসা রাক’আতাই সালাতিল বেত্রে ওয়াজিবুল্লাহি তা’লা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা’ বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
এর বাংলা অর্থঃ- তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।
এর বাংলা অর্থঃ- তিন রাকাত বেতের ওয়াজিব নামাজ আদায় করার জন্য কিবলামুখী হয়ে নিয়ত করলাম, আল্লাহু আকবর।
আরো পড়ুনঃ ইবাদত কাকে বলে ইবাদত কত প্রকার ও কি কি জেনে নিন
আপনারা যদি আরবীতে না পারেন তাহলে শুধু বাংলাটা বলে নিয়ত করতে পারেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা সবার মনের কথা বোঝেন। যে যতটুকু জানে সে ততটুকুই আমল করবেন আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য তার সঙ্গে সঙ্গে যেগুলো জানেন না সেগুলো শেখার চেষ্টা করবেন।
আপনারা যদি আরবীতে না পারেন তাহলে শুধু বাংলাটা বলে নিয়ত করতে পারেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা সবার মনের কথা বোঝেন। যে যতটুকু জানে সে ততটুকুই আমল করবেন আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য তার সঙ্গে সঙ্গে যেগুলো জানেন না সেগুলো শেখার চেষ্টা করবেন।
বিতর নামাজের ফজিলত
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যে রাতে অনেক আমল করে থাকে, আর রাতের আমলের ফজিলত অনেক বেশি হয়। আর রাতের ফজিলতপূর্ণ আমল গুলোর মধ্যে একটি হল বেতের নামাজ । হাদিসে বিভিন্ন বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে বৃত্তের নামাজের ফজিলত অপরিসীম। আর কোরআন এবং হাদিসের বেতের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে যে সকল বর্ণনা করা হয়েছে।- (১)রাসুল (সা:) সফর অবস্থাতেও বিতের সালাত এবং এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজ কখনোই ছাড়তেন না।
- (২)খারেজা ইবনে হুযাফা (রা:) বলেন, রাসুল (সা.) একদা আমাদের নিকট এসে বললেন নিশ্চয়ই আল্লাহতালা তোমাদেরকে একটি নামাজ দিয়ে অনুগ্রহ করেছেন যেটা তোমাদের জন্য লাল উটের চেয়েও উত্তম। তা হচ্ছে বিতর নামাজ। এই নামাজ আদায় করার জন্য তিনি সময় নির্ধারণ করেছেন যা এশার নামাজের পর থেকে ফজর উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। {আবু দাউদ, তিরমিজি}।
- (৩)খারেজা ইবনে হুযাফা (রা:) বলেন, রাসুল (সা.) একদা আমাদের নিকট এসে বললেন নিশ্চয়ই আল্লাহতালা তোমাদেরকে একটি নামাজ দিয়ে অনুগ্রহ করেছেন যেটা তোমাদের জন্য লাল উটের চেয়েও উত্তম। তা হচ্ছে বেতের নামাজ। এই নামাজ আদায় করার জন্য তিনি সময় নির্ধারণ করেছেন যা এশার নামাজের পর থেকে ফজর উদিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। {আবু দাউদ, তিরমিজি}।
- (৪)অন্য আরেক হাদীসে রাসূল (সা:) বলেন,' হে কোরআনের অনুসারীরা, তোমরা বেতর পড়ো কারণ আল্লাহতালা {বিজোড়)}এবং তিনি {বিজোড়}পছন্দ করেন। {তিরমিজি ৪৫৩} ।
- (৫) আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, নবী করীম( সা:) আমাকে ঘুমানোর আগে বিতর নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন।
- (৬) রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম, বেতের নামাজ কখনই ছেড়ে দিত না এবং সাহাবাদেরকে ও বেতের নামাজ পড়ার আদেশ দিতেন।