বিয়ের উপকারিতা - বিয়ে না করার উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক বিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন কিন্তু কোথাও এর সদর খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপবিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। যদি আপনি বিয়ের উপকারিতা ওকম বয়সী মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আশা করি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
বিয়ের উপকারিতা - বিয়ে না করার উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠকএই আর্টিকেলে শুধুমাত্র বিয়ের উপকারিতা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয় নাই এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।যদি আপনি সবিস্তারে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃবিয়ের উপকারিতা - বিয়ে না করার উপকারিতা জেনে নিন

  • ভূমিকা
  • বিয়ের শারীরিক উপকারিতা
  • কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা
  • ছেলেরা বিয়ে করে কিসের জন্য
  • বিয়ে না করার উপকারিতা
  • শেষ কথা

ভূমিকা

বিবাহ আল্লাহ তালার হুকুম ও রাসূল কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। এই বিবাহের কারণে মানুষ শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। এই আর্টিকেলে বিয়ের শারীরিক উপকারিতা , কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা , ছেলেরা বিয়ে করে কিসের জন্য , বিয়ে না করার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । আপনি যদি প্রতিটি পয়েন্ট মনোযোগ সহকারে পড়েন । তাহলে বিয়ে সম্পর্কেঅনেক কিছু বিষয় জানতে পারবেন।

বিয়ের শারীরিক উপকারিতা

বিয়ে হলো একটি মানুষের জীবনের সামাজিক বন্ধন ও নবীর সুন্নত। বিবাহের বন্ধনে দুই অপরিচিত মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিবাহ এমন একটি বন্ধন বন্ধন যা দুজন মানুষের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং সামাজিকভাবে যৌন সম্পর্ক স্বীকৃতি প্রদান করে। বিয়ে শুধু শুধু সামাজিক বন্ধনই নয়। দুইটি অপরিচিত মানুষের মনকে একত্রিত করার মাধ্যমও বটে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ,স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলনের কারণে। শরীরের বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে।
মহিলাদের নানাবিধ মুত্রাশয়ের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করেঃ নারীদের বিভিন্ন রকমের গাইনি সমস্যা যেমন জরায়ু সমস্যা , মূত্রাশয়ের সমস্যা ছাড়াও নানা বিদ সমস্যাদূর করতে বিবাহ বন্ধন সহায়তা করে।

শারীরিক ব্যায়ামঃ বিবাহে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণে স্বামী-স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় , শারীরিক সম্পর্কের সময় প্রতি মিনিটে পাঁচ ক্যালরি শক্তি খরচ হয়। এ বিষয়ে গবেষকরা জানান শারীরিক মিলনে দুই ধরনের উপকার হয় এক নম্বর উপকার হলোঃ হৃদ কম্পনে নির্দিষ্ট গতি আনে , দুই নম্বর হলোঃ বিভিন্ন মাংসপেশিকে সক্রিয় করে তোলে।
হার্ট এটাকে ঝুঁকি কমাইঃ মানুষের শরীরের জন্য বিবাহবন্ধন একটি উপকারীবন্ধন । যার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় । এই সম্পর্ক হৃদপিন্ডের জন্য মহা উপকারী , হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে , টেস্টোস্টেরন" এবং "অ্যাস্ট্রোজেন" এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যারা সপ্তাহে দুদিন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন তাদের হার্ট এটাকে ঝুঁকি অনেকটাই কম থাকে।

ঘুম ভালো হয়ঃ বিবাহ বন্ধনের কারণে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয় ।আর সে সম্পর্কে ফলে মানুষ যখন পরস্পর মিলিত হয় ,মিলিত হওয়ার পরে তার শরীরের মধ্যে আল্লাহতালা ক্লান্তি ভাব সৃষ্টি করেন যার কারণে মানুষের প্রশান্তিমূলক ঘুম হয়। আর ঘুম পাড়ার পর আল্লাহতালা শরীরের ক্লান্তি করে দেন। সুবহানাল্লাহ।

মানসিক চাপঃবিবাহ বন্ধনের কারণে মানুষের মানসিক চাপ কম হয়। গবেষকরা জানান প্রতিটা মানুষের একজন জীবন সঙ্গিনী দরকার । যে সঙ্গিনীর কাছে সুখের ও দুঃখের কথা শেয়ার করবে এবং সেই সঙ্গিনী স্বামীর সুখে সুখী হয় এবং স্বামীর দুখে দুঃখী হয়ে সান্ত্বনা দেয় ।

কম বয়সী মেয়ে বিয়ে করার উপকারিতা

কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে করার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতা ও রয়েছে । কম বয়সী মেয়েদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলে স্ত্রীর তুলনায় স্বামীর ভূমিকা বেশি পালন করতে হয় ।ছোট মানুষকে আদর সোহাগ দিয়ে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রাখতে হয় ।এতে দুজনের সম্পর্ক দীর্ঘদিন অটুট থাকে ।
যখন মেয়ে ভালো ভাবে বুঝতে শিখে ওই সময় স্বামীকেও আপন করে নিয়ে চলতে পারে , সংসার সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়ে চলতে পারে । আর যদি স্বামী কম বয়সী মেয়েদের বুঝিয়ে আদর সোহাগ দিয়ে নিজের কাছে করে নিতে না পারে ,তাহলে উপকারের পরিবর্তে অপকার বেশি হয় , সংসার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।

ছেলেরা বিয়ে করে কিসের জন্য

ছেলেরা বিয়ে করে কিসের জন্য ।ছেলেরা বিয়ে করে তার নিজের লজ্জা স্থানকে হেফাজত করার জন্য , রাসূলের সুন্নত আদায় করার জন্য ,রাসূল বলেন বিবাহ হলো আমার সুন্নত এই সুন্নত কে যে , অনুসরণ করল না সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয় । বিবাহ বন্ধন আল্লাহতালার একটি নিয়ামত । বিবাহ বিবাহ বন্ধন মনের প্রশান্তির কারণ, বিবাহ শারীরিক সুস্থতার কারণ , বিবাহের কারণে বংশবিস্তার হয় , বিবাহের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা তাঁর দাম্পত্য জীবনে বরকত দান করেন ,এছাড়াও আরো অনেক উপকার রয়েছে ।

বিয়ে না করার উপকারিতা

একজন যুবক যে সমস্ত কারণে বিবাহ করতে চাই ।যদি তার সেই সামর্থ্য ,শক্তি না থাকে তাহলে বিয়ে না করা এটাই তার উপকারিতা ।কারণ যদি একজন অসামর্থ্যবান ব্যক্তি যে , বিবাহ করে তার স্ত্রীর ভরণ পোষণ চালাতে পারবে না তার জন্য বিবাহ করা মাকরূহ , যদি বিবাহ করার শারীরিক সক্ষমতা না থাকে তাহলে তার জন্য বিবাহ করা নিষিদ্ধ ।যতক্ষণ না তার শারীরিক সক্ষমতা আসে ।অতএব কারো জন্য বিবাহ করা করার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে আর কারো জন্য বিবাহ না করার মধ্যে উপকারিতা রয়েছে । ওকে আমরা এতক্ষণ যাবৎ উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম এভাবে না করা উপকারিতা।

শেষ কথা

এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বিয়ের উপকারিতা ওবিয়ে না করার উপকারিতা যদি আপনার কাছে এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে যারা বিয়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা তাদের কাছে দয়াপূর্বক শেয়ার করুন ।আর নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে এই আর্টিকেলটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url