রচনা আমার মা ভালো ভাবে ও সহজ উপায়ে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, রচনা আমার মা জানার জন্য অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন ।কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। আমি স্টেপ বাই স্টেপ রচনা আমার মা জানানোর চেষ্টা করব। আপনি যদি রচনা আমার মা বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি  শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের  সদুত্তর পেয়ে যাবেন।
রচনা আমার মা ভালো ভাবে  ও সহজ উপায়ে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে শুধু রচনা আমার মা সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে।এছাড়াও আরো অনেক পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ রচনা আমার মা

ভূমিকা

মায়ের মত আপন কেউ নেই । অর্থাৎ এই ভবনে মায়ের মতো করে সন্তানকে আর আপন কেউ করে ভালোবাসে না । যার মা নেই সেই শুধু জানে পৃথিবীতে মা ছাড়া সন্তান কতটা অসহায় । মায়ের পিছনে মায়া মমতায় মানুষের পৃথিবীর বুকে বেড়ে ওঠে । তাই মানুষের জীবনে মায়ের গুরুত্বপূর্ণ বেশি ।

আমার মা

আমার মা আমার কাছে আদর্শ এক নারী । তিনি একজন বাঙালি পরিবারের মধ্যবিত্ত চালচরণে দক্ষ গৃহিণী। তবে হ্যাঁ বড় মনমানসিকতার বাস্তববাদী ও আধুনিক । আর আচার-আচরণেও তার সুস্পষ্ট প্রকাশ পায় । আমার মা আমার কাছে প্রাণের চেয়েও প্রিয় অন্যান্য ও অতুলনীয় । আমরা কখনো মাকে অসম্মান করব না । আমরা এমন কাজ করবো না যেখানে আমার মাকে অসম্মান হতে হয়। আমাদের পরিবারে তিনি একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করে ।পরিবারের কেউ যদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং যত্ন নেওয়া তখন তার যথারীতি তার সেবা বুঝতে পারি ।
আমার মা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাদিন কাজ করে । যখন আমার পড়ালেখায় কোন অসুবিধা হয় আমার মা শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং আমার সমস্যার সমাধান করেন । আমার সাথে আমার মন ভালো করার জন্য সমস্যা সমাধান করার জন্য । মায়ের কাছে সব থেকে দামি সম্পদ হচ্ছে তার সন্তান । জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার সকল ভাবনা সন্তানদের নিয়েই থাকে । সন্তান কিসে ভালো থাকবে , নিরাপদ থাকবে তিনি সবসময় কেবল সেই ভাবনা নিয়েই পড়ে থাকেন । একজন শিশুর পৃথিবীতে মায়ের বুকে ঘুমানোর মতো সুখ আর শান্তিদায়ক জায়গা কোথাও নেই ।

সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা

পৃথিবীতে মায়ের কাছে দামি সম্পদ হচ্ছে তার সন্তান । তিনি সবসময় তার কাছে রাখেন । আমার কোন অসুখ দেখা দিলে মায়ের দুশ্চিন্তায় শেষ থাকে না । দিন রাত জেগে তিনি আমার সেবা করেন । আমার খুশি করার জন্য যা যা করা দরকার আমার মায়ের সব করেন ।

আমার শৈশব স্মৃতিতে মা

ছোটবেলায় আমার খেলার সাথী ছিলেন আমার মা মা আমাকে আদর স্নেহ দিয়ে লালন পালন করেছিলেন। খেতে না চাইলে হাতে খাইয়ে দিতেন , ঘুম পাড়িয়ে দিতেন । মন খারাপ বা অভিমান করলে অভিমান ভাঙাতে মিষ্টি করে গান শোনাতেন । মায়ের কাছেই আমার বর্ণবিজয় এর হাতে খড়ি হয় । তিনি আমাকে দেশের বেশ কয়েকটি ছড়া শিখিয়েছে । রং পেন্সিল কিনে দিয়ে তিনি আমার ছবি আঁকার চর্চা করেছে ।
আমার শৈশবে মায়ের এই স্মৃতিগুলো আজও আমাকে আনন্দ দেয় । আমরা ছোটকালে কত কিছু ভেঙ্গে ফেলেছি এই নিয়ে মাকে সব জায়গায় ছোট হতে হয়েছে । কিন্তু আমরা বড় হয়ে এসব কাজ করি না । আমরা মাকে কখনো অসম্মান করি না আর করবও না। শৈশবে আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয় আমাদের মায়ের নির্দেশনায় আমাদের বাড়িতে শুরু হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে । আমাদের মাকে প্রথম সেরা বন্ধু হিসেবে এবং প্রথম শিক্ষক হিসেবে ডাকতে পারি ।
আমার মা সংসারের একজন দুঃখ গৃহিণী । আমার মা খুব পরিশ্রমে প্রকৃতির একজন মানুষ । সূর্য ওঠার আগে তার ব্যস্ত সময়সূচী শুরু হয়ে যায় । সাংসারিক কাজে তিনি বেশ পারদর্শিক বললেই চলে । তিনি সংখ্যায় সমস্ত কাজ নিজ হাতেই সামলা। সুন্দর পরিপাটি করে ঘর সাজানোর ব্যাপারটা তার তুলনা করা ভার । সকালের নাস্তা , টিফিন , দুপুরের খাবার , রাতের খাবার সবই তিনি নিজ হাতে করে ।

অতিথি আপ্যায়নেও আমার মা নিয়ে সিদ্ধার্থের রান্না করেন । আমার মা খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন । সকালে বাড়ি ঘরের কাজ-কাম সেরে সকালে নাস্তা বানাতে শুরু করে । এবং আমার বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে আমাকে টিফিন এবং বাবাকে টিফিন তৈরি করে দেয় । আমাদের সবার নাস্তা তৈরি করে পরিবেশন করার পর সে আমাদের স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসতে । আবার আবার সন্ধ্যায় স্কুল থেকে নিয়ে আসতেন আমাদেরকে ।

আনন্দের দিনে মায়ের মুখ

আমাদের সংসারের কোনো আমাদের বার্তা এলে মায়ের মুখটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে । আমাদের যেকোনো সফলতা হলেই তিনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। তাই আনন্দের দিনে তিনি বিশেষ কোনো রান্না তৈরি করে আমাদের একসঙ্গে বসিয়ে খাওয়াতে ভালোবাসে । আমি প্রাইমারি বৃত্তি পরীক্ষায় বৃদ্ধি পেয়েছিলাম তখন মা আনন্দে কেটে ফেলেছিলেন। বেশি সময় দেখি ।
বা কোন খুশির সংবাদ শুনলেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাক । কোন খারাপ কাজ করলে পরিবারের কেউ বকলে মাতার সর্দারকে বুকে আগলে রাখে। মা আমাদের জীবনের সঙ্গী এবং পরকালেরও সঙ্গী । অন্য সবার মত অনুপ্রেরণা আমার মা আমার কাছে । তিনি আমার সারা জীবন আমাকে অনেক প্রভাবিত করছেন এবং তিনি হলেন সেই মহিলা যাকে আমি সবচেয়ে বেশি প্রশংসা করি। । যত্নের ক্ষেত্রে এবং ভালোবাসা , কেউ মায়ের স্থান নিতে পারে না ।

দুঃখের সময়

মা যেমন আমাদের আমাদের সঙ্গী তেমনি দুঃখেরও সঙ্গী । আমাদের অসুস্থতায় তিনি উত্তীর্ণ হন । তিনি সারারাত জেগে সেবা দান করার মধ্যেই সার্থকতা খুঁজে পাই । তিনি আমাদের কষ্ট দূর করার জন্য সথেষ্ট থাকেন। । তিনি ব্যাকুল হয়ে থাকেন আমাদের ভবিষ্যৎ চিন্তায় । বা আমাদের দুঃখের সময় সব সময় আমাদের পাশে থাকে কখনো হাল ছেড়ে দেন না । পরিবারের কোন মানুষ ছেড়ে দিলেও মা কখনো তাহাল ছেড়ে দেয় না । কে কখনো ফেলে দিতে পারেন না বা পর করে দিতে পারেনা । মায়ের মত করে আগলে রাখা মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছে । একটু ভালো হতো

অবসরকালে মায়ের অবস্থা

যদিও মা সংসারে তেমন অবসর সময় পাই না , তবু যতটুকুই অবসর সময় পায় ততটুকু তিনি আমাদের সঙ্গে গল্প করে কাটিয়ে দেন। কখনো বা তিনি কাপড়ে সুই সুতা দিয়ে ফুল তোলে । এছাড়াও পত্রিকা , হাদিসের বই , কুরআন পড়া তার দৈনিক তার অভ্যেস । এছাড়া তিনি টিভি দেখা গান শোনা , বিষয়ে অন্তত উৎসাহী । মা এ কাজগুলো অবসর সময় উপভোগ করেন । আমাদের উচিত মায়ের অবসর সময় গুলো কোন কাজ না দিয়ে । ভালোভাবে তার সময় গুলো করতে দেওয়া । আমার মা আমাদের পরিবারের কথা ভেবে দিন রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করে বেড়ান শুধু পরিবারের সুখের জন্য ।

অভিভাবক হিসেবে মা

মা আমাকে মানুষের মতো করে মানুষ বানাতে চান । তিনি আমার প্রিয় শিক্ষক এবং সেরা শিক্ষক । আমার পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে আমার মা আমাকে খুব সাহায্য করেন । আমার মা কঠিন বিষয় গুলো খুব সহজেই বুঝিয়ে দিতে পারেন । আমার মামাকে কখনো বকুনি দেন না ।

উপসংহার

আমাকে একটি শিক্ষিত বা দাও , আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব । আমি নেপোলিয়নের এ উক্তির সার্থকতা আমার মায়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠা হতে দেখেছি । আমার মায়ের আদর্শ , সততা ও কর্ম প্রেরণা আমাকে জীবন চলার পথে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে চলছে । আমি আমার মাকে অসংখ্যবার সালাম জানাই এই যে , তার মত আদর্শ নারীর গর্ভে আবার জন্ম হয়েছে । আমি আবার মাকে পেয়ে ধরবো হয়েছি। আমার মা কাছে সবচেয়ে প্রিয় । আমি আমার মাকে পেয়ে আমার জীবন ধন্য । আল্লাহর কাছে আমি হাজার হাজার শুকরিয়া আদায় করি ।

শেষ কথা

এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই, এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এরকম আরো অনেক নতুন নতুন আর্টিকেল দেখতে চাইলে এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন। আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেল পড়ার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url