ঋণ মুক্তির দোয়া এবং আমল করার সঠিক নিয়ম
পোস্ট সূচিপত্র : ঋণ মুক্তির দোয়া এবং আমল করার নিয়ম
ভূমিকা
এই আর্টিকেলটির, মধ্যে আমি আপনাদের খুব তাড়াতাড়ি ঋণ পরিশোধ হওয়ার জন্য দুইটি আমলের কথা জানিয়েছি এবং এই আমল করলে কিভাবে ঋণ পরিশোধ হয় এবং ঠিকঠাক আমল করার নিয়ম ও আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কিছু কথা তুলে ধরেছি। তাই আপনারা যদি ঋণ মুক্তির দোয়া এবং আমল করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন এবং আমল করুন তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ঋণ মুক্ত করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। এবংআর্টিকেলটি ভালো লাগলে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।ঋণ মুক্তির দোয়া
ঋণ মানুষের জীবনের একটি অভিশাপ, যে ঋণগ্রস্থ আছে সেই বুঝে ঋণ করা কত জ্বালা। ঋণ করলে মানুষের জীবনের মান সম্মান ইজ্জত কিছুই থাকে না। ঋণ নিয়ে যদি ঠিকমতো দিয়ে দিতে পারেন তাহলে ঋণ নিবেন না। কারণ ঋণ নেওয়ার পর ঋণ যদি দিতে না পারেন তাহলে আপনার জীবনে সব সুখ শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। আপনি যার থেকে ঋণ নিবেন তার ঋণ যদি সময়মতো পরিশোধ না করতে পারেন তাহলে তার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। সে আপনাকে অভিশাপ দিতে থাকে। আর আপনার জীবন সেই অভিশাপে আপনার জীবনের সকল সুখ-শান্তি নষ্ট হয়ে যায়।তাই আপনারা ঋণ নেভার আগে ৫০ বার ভেবে দেখবেন আমি যে ঋণ করছি পরিশোধ করার ক্ষমতা আমার আছে কিনা। যদি দেখেন আপনার ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা আছে তাহলেই আপনি ঋণ নিবেন। এবং সময়মতো টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন। আর অনেক চেষ্টা করার পরও আপনি দেখলেন আপনার আর কোন উপায় নেই ঋণ পরিশোধ করার তাহলে আপনি আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে চাইতে থাকুন আল্লাহর কাছে আপনি এমন ভাবে চাইতে থাকুন যে আল্লাহ আপনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না দিবে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি চাওয়া থামাবেন না।
আর আপনি ঋণ পরিশোধ হওয়ার দোয়া গুলো নিয়ম অনুযায়ী আমল করতে থাকুন এবং আল্লাহর ওপর এমনভাবে ভরসা করবেন যেন আল্লাহ আপনাকে দিবেই কিভাবে দিবে সেটা শুধু আল্লাহ তালাই জানেন। এইভাবে মনকে দৃঢ় করে আল্লাহর কাছে চোখের পানি ফেলে আপনি অঝোরে কাঁদতে থাকুন এবং সবচেয়ে ভালো হয় আপনি শেষ রাতে তাহাজ্জুতের সময় উঠে আল্লাহর কাছে দুই ফোটা চোখের পানি ফেলে ঋণ পরিশোধের দোয়া এবং আরো বিভিন্ন দোয়া গুলো পাঠ করতে পারেন।
তাহলে আল্লাহতালা অনেক তাড়াতাড়ি আপনার ঋণ পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দিবে। আল্লাহ তায়ালা গায়েবী মাধ্যমে কিভাবে যে ঋণ পরিশোধ করবে আপনি নিজেও বুঝতে পারবেন না, কিন্তু একিন একদম দিরো হতে হবে। একিন যদি দৃঢ় থাকে তাহলে আপনার গায়েবী মাধ্যমে সাহায্য অবশ্যই আসবে ইনশাআল্লাহ।
ঋণ মুক্তির দোয়া : আমরা জানি মানুষকে ঋণ দেওয়া ভালো ।কিন্তু কারো থেকে ঋণ নেওয়ার সময় তাকে ভালো ভাবে ভেবে ঋণ নেওয়া উচিত। যেন তার কষ্টের টাকা তাকে ফেরত দিতে পারি এবং ফেরত দেয়ার ক্ষমতা আছে। তাই ঋণ নেওয়ার পর থেকে আপনারা এই আমলটি করতে থাকবেন যেন আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ঠিকমতো ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দান করেন। আল্লাহ তা'আলা হয়তো আপনার সময়ের আগেই ঋণ পরিশোধ করে দেওয়ার তৌফিক দান করবে।
আরবি উচ্চারণ : اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকেও আমাকে আত্মনির্ভরশীল (ঋণমুক্ত) করো।’ (তিরমিজি)
আমল করার নিয়ম : এই দোয়াটি আপনারা সকাল সন্ধ্যায় ১১ বার করে পাঠ করবে। আর যদি আপনাদের ঋণ পরিশোধের অতিরিক্ত তারা থাকে তাহলে সারাদিনে আপনি এই দোয়াটা আমল করতে থাকুন। সব সময় মনের মধ্যে এই দোয়াটি পাঠ করতে থাকুন। এই দোয়া পড়ার আগে (আস্তাগফিরুল্লাহ এবং দুরুদ শরীফ) পাঠ করে নিবেন এবং দোয়া শেষেও (আস্তাগফিরুল্লাহ এবং দুরুদ শরীফ) পাঠ করবেন। এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের সহিত আমল করবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার দোয়া কবুল হবেই।
অনেকে বলে আমি অনেক দোয়া করি কিন্তু আমার দোয়া কবুল হয় না এর ৩ টি কারণ রয়েছে।(১) আপনার গুনহা সমূহ বেশি হয়ে গেলে দোয়া কবুল হয় না বা দোয়া কবুল হতে সময় লাগে তাই আপনি বারবার ইস্তেগফারের শহীদ আমল করতে থাকেন।(২) আপনারা দোয়া করার পর দোয়া কবুল না হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, যদি আপনার সামনে একটি কঠিন বিপদ রয়েছে, সেসময় আপনি দোয়া করলেন কিন্তু আপনি যে প্রয়োজনে দোয়া করলেন।
আরবি উচ্চারণ : اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
বাংলা উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকেও আমাকে আত্মনির্ভরশীল (ঋণমুক্ত) করো।’ (তিরমিজি)
আমল করার নিয়ম : এই দোয়াটি আপনারা সকাল সন্ধ্যায় ১১ বার করে পাঠ করবে। আর যদি আপনাদের ঋণ পরিশোধের অতিরিক্ত তারা থাকে তাহলে সারাদিনে আপনি এই দোয়াটা আমল করতে থাকুন। সব সময় মনের মধ্যে এই দোয়াটি পাঠ করতে থাকুন। এই দোয়া পড়ার আগে (আস্তাগফিরুল্লাহ এবং দুরুদ শরীফ) পাঠ করে নিবেন এবং দোয়া শেষেও (আস্তাগফিরুল্লাহ এবং দুরুদ শরীফ) পাঠ করবেন। এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের সহিত আমল করবেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার দোয়া কবুল হবেই।
অনেকে বলে আমি অনেক দোয়া করি কিন্তু আমার দোয়া কবুল হয় না এর ৩ টি কারণ রয়েছে।(১) আপনার গুনহা সমূহ বেশি হয়ে গেলে দোয়া কবুল হয় না বা দোয়া কবুল হতে সময় লাগে তাই আপনি বারবার ইস্তেগফারের শহীদ আমল করতে থাকেন।(২) আপনারা দোয়া করার পর দোয়া কবুল না হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, যদি আপনার সামনে একটি কঠিন বিপদ রয়েছে, সেসময় আপনি দোয়া করলেন কিন্তু আপনি যে প্রয়োজনে দোয়া করলেন।
সেটি পূরণ না হয়ে আপনার সেই কঠিন বিপদ থেকে আল্লাহতালা আপনাকে রক্ষা করবেন।(৩) আপনি দোয়া করার পর যদি দোয়া কবুল না হয়, তাহলে মনে করবেন আল্লাহ তাআলা আপনার সেই দোয়া কবুল করেছে কিন্তু সেই দোয়াটি আপনার আখিরাতের জন্য জমা করে রেখেছেন। তাই আপনারা অবশ্যই আল্লাহর প্রতি একীন ও বিশ্বাসের সহিত দোয়া করবেন এবং বারবার (ইস্তেগফার ও দুরুদ শরীফ) পাঠ করবেন দোয়া ইনশাল্লাহ কবুল হবে।
আবু উমামা বললেন নবী, আমি অনেক পেরেশানির মধ্যে আছি এবং ঋণগ্রস্থ রয়েছে এজন্য আমার মনটা অনেক খারাপ। আমি তোমাকে এমন কিছু কথা শিখিয়ে দেবো যা তুমি আল্লাহকে বল আশা করা যায় আল্লাহ তা'আলা তোমার পেরেশানিকে দূর করে দিবেন। তোমার ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা আল্লাহতালা করে দিবেন। আবু উমামা বললেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ আমার এমনই আমল দরকার যা আমার ঋণ পরিষদ করতে সহজ হয়ে যায়। নবীজির বলেছেন, কেউ যদি কারো কাছ থেকে এই নিয়তে ঋণ নাই, যে আমি ইনশাল্লাহ তার ঋণ পরিশোধ করে দিল তাহলে আল্লাহ তায়ালা যে কোনভাবে তার ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দিয়ে দিবেন।
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজা। ওয়াল আজিজী ওয়াল কাসলি। ওয়া আউযুবিকা মিনাল যুগনি ওয়াল বুখলি। ওয়া গলাবাতিন দাইন। ওয়া কহরির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে পানহা চাই পেরেশানি এবং দুশ্চিন্তা থেকে। অপারকতা এবং অলসতা থেকে মুক্তি চাই। হে আল্লাহ ভীরুতা এবং কাপুরুষতা এবং কৃপণতা থেকে আপনার কাছে পানহা চাই। ঋণের প্রাচুর্যতা থেকে আপনার কাছে পানহা চাই। মানুষের অনিষ্টতা এবং মানুষের জুলুম মানুষের ধমক এবং ধমকি থেকে আপনার কাছে পানহা চাই।
আবু উমামা বলেন রাসূল,আমাকে এই আমল শিখিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পর আমার সকল পেরেশানি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার ঋণ আদায়ের সুন্দর ব্যবস্থা করে দিলেন।
আমল করার নিয়ম : রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন, সকালে এবং সন্ধ্যায় সালাত আদায়ের পর এই দোয়াটি পড়ো তাহলে ইনশাল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পাবে।
ঋণ মুক্তির দোয়া ও আমল
একদিন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম মসজিদে প্রবেশ করার পর। এবং রাসূল হঠাৎ দেখতে পেলেন রাসুলের সাহাবা আবু উমামা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু, মসজিদে বসে আছেন। রাসূল আবু উমামা কে ডেকে বললেন, আবু মামা নামাজের সময় ছাড়া তুমি এই আটাইমে মসজিদের মধ্যে কেন বসে আছো। রাসুলের সাহাবারা যেকোন বিপদ-আপদে পড়লে মসজিদে দৌড়াইয়া যাইতেন।আবু উমামা বললেন নবী, আমি অনেক পেরেশানির মধ্যে আছি এবং ঋণগ্রস্থ রয়েছে এজন্য আমার মনটা অনেক খারাপ। আমি তোমাকে এমন কিছু কথা শিখিয়ে দেবো যা তুমি আল্লাহকে বল আশা করা যায় আল্লাহ তা'আলা তোমার পেরেশানিকে দূর করে দিবেন। তোমার ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা আল্লাহতালা করে দিবেন। আবু উমামা বললেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ আমার এমনই আমল দরকার যা আমার ঋণ পরিষদ করতে সহজ হয়ে যায়। নবীজির বলেছেন, কেউ যদি কারো কাছ থেকে এই নিয়তে ঋণ নাই, যে আমি ইনশাল্লাহ তার ঋণ পরিশোধ করে দিল তাহলে আল্লাহ তায়ালা যে কোনভাবে তার ঋণ পরিশোধ করার তৌফিক দিয়ে দিবেন।
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাজা। ওয়াল আজিজী ওয়াল কাসলি। ওয়া আউযুবিকা মিনাল যুগনি ওয়াল বুখলি। ওয়া গলাবাতিন দাইন। ওয়া কহরির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে পানহা চাই পেরেশানি এবং দুশ্চিন্তা থেকে। অপারকতা এবং অলসতা থেকে মুক্তি চাই। হে আল্লাহ ভীরুতা এবং কাপুরুষতা এবং কৃপণতা থেকে আপনার কাছে পানহা চাই। ঋণের প্রাচুর্যতা থেকে আপনার কাছে পানহা চাই। মানুষের অনিষ্টতা এবং মানুষের জুলুম মানুষের ধমক এবং ধমকি থেকে আপনার কাছে পানহা চাই।
আবু উমামা বলেন রাসূল,আমাকে এই আমল শিখিয়ে দেওয়ার কিছুদিন পর আমার সকল পেরেশানি এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার ঋণ আদায়ের সুন্দর ব্যবস্থা করে দিলেন।
আমল করার নিয়ম : রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন, সকালে এবং সন্ধ্যায় সালাত আদায়ের পর এই দোয়াটি পড়ো তাহলে ইনশাল্লাহ আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পাবে।