বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জেনে নিন
প্রিয় পাঠক বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক জায়গায় আপনি খোঁজাখুঁজি
করেছেন কিন্তু কোথাও এর সঠিক চিকিৎসা খুঁজে পাচ্ছেন না আমরা এই আর্টিকেলের
মাধ্যমে আপনাকে স্টেপ বাই স্টেপ ঘরোয়া বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করব
চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে। আপনি যদি আপনার কাঙ্খিত চিকিৎসা
সম্পর্কে জানতে চান এবং নিজেও চিকিৎসা পেতে চান তাহলে।আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
প্রিয় পাঠক এখানে শুধুমাত্র ঘরোয়া চিকিৎসায় নয় আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি আপনি যদি সেগুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিচের পয়েন্টগুলো ফলো করতে পারেন আপনি এই অনেক রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি পেয়ে যাবেন.
প্রিয় পাঠক এখানে শুধুমাত্র ঘরোয়া চিকিৎসায় নয় আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি আপনি যদি সেগুলো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিচের পয়েন্টগুলো ফলো করতে পারেন আপনি এই অনেক রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি পেয়ে যাবেন.
পোস্ট সূচীপত্র: বিভিন্ন রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা বিস্তারিত জানুন
- ভূমিকা
- দ্রুত কাশি কমানোর উপায়
- শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
- চর্ম রোগ সারানোর উপায়
- প্রোস্টেট রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
- হঠাৎ কানে ব্যথা হলে করণীয়
- মন্তব্য
ভূমিকা
এই আর্টিক্যাল দ্বারা আপনি ঘরোয়া বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পারবেন
তার মধ্যে দ্রুত কাশি কমানোর উপায়, শিশুদের টনসি্ল , চর্মরোগ, প্রোস্টেট রোগ ,
দন্ত রোগ , হঠাৎ কানে ব্যথা এ সমস্ত আলোকপাত করা হয়েছে।
দ্রুত কাশি কমানোর উপায়
এক গ্লাস গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু একটা লেবুর রস সাথে একটু আদার রস
দুইটি লং মিশিয়ে দিনে দুই-তিনবার পান করুন এই পানি গলা ব্যথা ও উপসমে সহায়তা
করে। সকালে খালি পেটে হাতের তালুতে২ টেবিল চামচ মধু তিন থেকে চার ফোঁটা কালিজিরা
তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন এতে গলা ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। রাতে ঘুমানোর
পূর্বে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন এতে
কাশি গলা ব্যথা ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
শিশুদের টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
- শিশুদের শীতের সময় অন্যান্য সমস্যার সাথে সাথে যেটি বেশি দেখা যায় সেটি হচ্ছে গলা ব্যথা। যে গলা ব্যথার কারণে পানি পানে, কথা বলতে, খাবার খেতেও কষ্ট হয় মুখের সমস্যা দূর করতে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল (আঞ্চলিক ভাষায় গড়গড়া বলে ) করান। এতে দ্রুত টনসিল ভালো হয় হয়ে যাবে।
- গ্রিন টি চার কাপ পানির মধ্যে এক টেবিল চামচ গ্রিন টি এবং দুই চা চামচ লেবু দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন এরপরে একটি ফ্লাক্সে রাখুন অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াতে থাকুন ইনশাআল্লাহ উপশমে সহায়তা করবে।
- বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগানো থেকে বিরত থাকুন। সমস্যা শুরুতেই আদা লেবু চা সাথে লং মিশিয়ে চা মাঝে মাঝে পান করান এতে শিশু দ্রুত আরোগ্য লাভ করবে। কোন ভাবে ভাবেসমস্যা না মিটলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- গলায় টনশিল থাকলে হলুদ চা খাওয়াতে পারেন। ফুটন্ত দুধের মধ্যে একটু হলুদ সাথে কালো গোলমরিচ দু এক দানা মিশিয়ে সেই দুধ পান করালে টনসিল দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
চর্ম রোগ সারানোর উপায়
- চর্মরোগ এমন একটা রোগ যেই রোগ হলে মানুষের সামনেই চুলকাতে থাকে লজ্জা শরম মানে না মানুষের সামনে অপমান করে ফেলে । যখন চুলকাতেই থাকে চুলকাইতে চুলকাইতে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে মনে হয় যেন ওই চুলকানোর জায়গায় কে যেন আগুন ধরিয়ে দিল, আগুন ধরিয়ে দিলে যেমন জ্বালাপোড়া করে ঠিক তেমনি জ্বালাপোড়া করতে লাগে। এ রোগ থেকে নিরাময় হওয়ার উপায়।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড়-চোপড় ব্যবহার করা নিয়মিত গোসল করা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে থাকা বিশুদ্ধ পানি পান করা। এতে চুলকানি পচড়া থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
- এলার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা যথা পুঁইশাক, ইলিশ মাছ, গরুর গোস্ত ,চিংড়ি মাছ , মিষ্টি কুমড়া ,মুসুরির ডাল ইত্যাদি।
- এই সমস্যাগুলো শুষ্ক ত্বকে বেশি হয়ে থাকে। এজন্য অলিভ অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন অলিভ অয়েল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা ত্বকে মিশে গিয়ে আর্দ্রতা বজায় রাখে নিয়মিত মাখলে ত্বক ভালো । অলিভ অয়েল অলিভ অয়েল তেল হচ্ছে যাইতুনের তেল রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খেতেন ব্যবহার করতেন।
- তুলসী পাতা-তুলসীর হাজারও গুন রয়েছে যা নানা রোগের আরোগ্য লাভ করতে সহায়তা করে নানা ধরনের ক্ষত, লাল ছো্প , পোড়া , চুলকানি সহ ত্বকের যে কোন সমস্যয় পাতা বেটে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে উপকার পাওয়া যায়।
- নিম-নিম পাতায় রয়েছে এমন উপাদান যা যে কোন জ্বালাময়ী সমস্যা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে চুলকানি, পচড়া , ইত্যাদি কমাতে নিমের পাতা বিশেষ কাজ করে গরম পানির মধ্যে দিয়ে সিদ্ধ করে সেই পানি দ্বারা গোসল করলে চুলকানি পচড়া উপশম হয়।
- কাঁচা হলুদ-কাঁচা হলুদ নিম পাতার সাথে বেটে চুলকানি পচড়ার স্থানে লাগালে বিশেষ ফল পাওয়া যায় চুলকানি পচড়ার জীবাণু দূর হয়ে যায়।
প্রোস্টেট রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
- প্রোস্টেট রোগের লক্ষণ কি কি
- ধীরে ধীরে প্রস্রাব হওয়া
- প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া করা
- প্রসব আটকে আটকে হওয়া
- পিঠে বা নিতম্বে ব্যথা করা
- বীর্যপাতের সময় যন্ত্রণা করা
- প্রসব করার সময় শুরু করতে অসুবিধা হওয়া
- প্রসব বা বীর্যের সঙ্গে রক্ত যাওয়া
লক্ষণ গুলো যদি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তার শরণাপন্ন হতে হবে। লক্ষণগুলো অন্য
কারনেও হতে পারে তাই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে সঠিক রোগ নির্ণয় করা এবং
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। হতে পারে প্রোস্টেট ক্যান্সার আপনার
হয়ে গিয়েছে আপনি বুঝতেও পারেননি এজন্য সাবধানতা অবলম্বন করা।
দাঁতের গর্ত দূর করার ঘরোয়া উপায়
- দাঁতের গর্ত রোধে প্রতিদিন পাঁচবার পিলু, নিম অথবা বাবলা গাছের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করতে হবে রাতের ঘুমানোর পূর্বে একবার ব্রাশ করে ঘুমাতে হবে।
- চিনি যুক্ত, আঠালো খাবার , অম্ল যুক্ত খাবার , কপি এড়িয়ে চলতে হবে।
- খাওয়ার পর মুখ ভালোভাবে কুলি করে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
- যেকোন ধূমপান বা নেশা দ্রব্য প্রস্তু থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ক্যাভিটি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা করতে হবে।
- খাদ্যের তালিকায় ভিটামিন সি রাখতে হবে ভিটামিন সি দাঁত শক্ত রাখতে সহায়তা করে।
হঠাৎ কানে ব্যথা হলে করণীয়
হঠাৎ কানে ব্যথা হলে বাচ্চাকাচ্চা বা বড় মানুষ অস্থির হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে
আপনি যে কাজটা প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে করতে পারেন সেটা হল ওয়ালিভওয়েল তেল
বা তিলের ছেলে কয়েক কুয়া রসুন কুচিকুচি করে কেটে ভিজিয়ে রাখুন এরপর তেলটি
ছাকনা দিয়ে ছেঁকে নিন এরপর কয়েক ফোঁটা যে কানে ব্যথা সেখানে দিয়ে দিন
ইনশাল্লাহ কানের ব্যথা কমে যাবে। এরপরেও ভালো না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।